বেলারুশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন
বেলারুশের সাথে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স থেকে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসগামী রায়ানএয়ারের একটি ফ্লাইট ঘুরিয়ে বেলারুশের রাজধানী মিনস্ক নিয়ে এসে সরকার সমালোচক সাংবাদিককে আটক করার প্রেক্ষিতে ইইউ নেতৃবৃন্দ এ উদ্যোগ নিলো। এদিকে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ প্রোতাসেভিচকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ কারনে তাঁর মৃত্যুদন্ড হতে পারে বলে আশংকা করছেন স্ভেতলানা টিকানোভস্কিয়া। তিনি তার মুক্তি দাবি করেছেন।
ব্রাসেলসে সোমবার ইইউ নেতৃবৃন্দ বৈঠক করে আটককৃত সাংবাদিককে ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ছেন। একইসঙ্গে তারা বেলারুশের এয়ারলাইন্সের জন্য ইইউ ব্লকের আকাশসীমা বন্ধ এবং ইইউ ভিত্তিক এয়ারলাইন্সগুলোও বেলারুশের আকাশসীমা এড়িয়ে চলবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিরোধী মতের ওপর দমন পীড়ন চালানোর জন্য ইইউ নেতৃবৃন্দ আবারো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ সম্পর্কিত প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে বেলারুশের কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে। তারা ইতোমধ্যে কালো তালিকাভুক্ত বেলারুশ সরকারের ৮৮ ব্যক্তি ও সাত কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে।
এদিকে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাইডেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দায়ীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে তার টিমকে নির্দেশ দিয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ উদ্যোগের আগে বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আটককৃত ২৬ বছর বয়স্ক ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক রোমান প্রোতাসেভিচকে ৩০ সেকেন্ডের জন্য দেখানো হয়েছে এবং নিশ্চিত করা হয়েছে তিনি মিনস্কের কারাগারে বন্দী আছেন এবং গণবিক্ষোভ আয়োজনের দায় স্বীকার করেছেন।
আগের খবর : ‘সাংবাদিককে ধরতে’ ঘুরিয়ে নেওয়া হল উড়োজাহাজ
নির্বাসিত বিরোধী নেত্রী স্ভেতলানা টিকানোভস্কিয়া জানান, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকডান্ডার লুকাশেঙ্কোর সরকার রোমান প্রোতাসেভিচের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার পর ২০১৯ সালে দেশ ছাড়েন তিনি। এরপর নেক্সটা মিডিয়ার মাধ্যমে ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের খবর প্রকাশ করেন প্রোতাসেভিচ।
গত বছর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর(৬৬) কাছে পরাজিত হন স্ভেতলানা টিকানোভস্কিয়া। ওই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে জালিয়াতি হয় বলে অভিযোগ করে আসছেন তিনি। আটককৃত সাংবাদিক রোমান প্রোতাসেভিচও পোল্যান্ডে নির্বাসিত ছিলেন।
বেলারুশ কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার কারন দেখিয়ে ফ্লাইটটিকে ঘুরিয়ে দিলেও তল্লাশি চালিয়ে এর ভেতর কিছুই পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার কারনে বিশ্ব নেতবৃন্দের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বেলারুশ।