বিশ্বখ্যাত ‘জর্জিয়া টেকে’ পড়ার সুযোগ পেলেন বাংলাদেশি ফারহান

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় জর্জিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে (জর্জিয়া টেক) এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং- এ মাস্টার্স করার সুযোগ পেয়েছেনপ্রবাসী বাংলাদেশি মাহমুদ ফারহান।

বর্তমানে তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা এওরোস্পেইস কোম্পানি প্র‍্যাট & হুইটনিতে এওরোস্পেইস স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।

ফারহান ২০১৯ সালে সিটি কলেজ অফ নিউইয়র্ক থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন।

Travelion – Mobile

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

জর্জিয়া টেকে ভর্তির ব্যাপারে ফারহান মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, “আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে বিশ্বের অন্যতম একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। এমআইটি, ক্যালটেক, স্ট্যানফোর্ডের মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে পিছনে ফেলে জর্জিয়া টেকের স্কুল অফ এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং,র‍্যাংকিংয়ে এক নম্বরে রয়েছে;সেজন্য ভালো লাগাটা একটু বেশিই।”

এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার আগ্রহের কারণ জানতে চাইলে ফারহান বলেন, “ছোট বেলায় এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং কি বুঝতাম না। তবে নাসা, রকেট, এয়ারক্রাফট এসব নিয়ে আমার প্রচুর আগ্রহ ছিলো। আর বর্তমানে এওরোস্পেইস ইন্ডাস্ট্রিতে এক ধরনের বিপ্লব শুরু হয়েছে। নাসা ছাড়াও অন্যান্য প্রাইভেট এওরোস্পেইস কোম্পানিগুলো মহাকাশে মানুষ পাঠাচ্ছে।”

“আমিও চাই এই এওরোস্পেইস বিপ্লবে বাংলাদেশি আমেরিকানদের প্রতিনিধিত্ব করতে। তাছাড়া আমি বর্তমানে এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই কর্মরত আছি। সব কিছু মিলিয়েই আসলে এওরোস্পেইস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে মাস্টার্স করার আগ্রহটা আসে”, তিনি যোগ করেন।

ফারহান আরো জানান যে, তার শিক্ষার শতভাগ খরচ (প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) বহন করবে তার কর্মস্থল প্র‍্যাট & হুইটনি।

আরও পড়তে পারেন :
নিউইয়র্কের স্ট্যাটেন আইল্যান্ডের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশি করিম চৌধুরী
ইতালিতে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে লাইমলাইটে যে বাংলাদেশি
নিউইয়র্কে এস্টোরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটির হালাল চিকেন বিতরণ
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মাননা
যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ শহরে ‘দামাল’, নিউইয়র্ক প্রিমিয়ারে বাজিমাত

ফারহানের পৈতৃক নিবাস কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল গ্রামের সরদার বাড়িতে। তার শৈশব কাটে শমশেরনগরের এয়ারপোর্ট রোডে।

তিনি ২০১১ সালে সিলেটের পুলিশ লাইন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করার পর পরিবারের সাথে নিউইয়র্কে পাড়ি জমান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!