বিশেষ ফ্লাইটে আনা হয়েছে চার লাখ পাসপোর্ট বই

করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও বিশেষ বিমানে করে চার লাখ পাসপোর্ট বই আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়া পাসপোর্ট অফিসকে সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। সরকারের নির্দেশ পেলে পুরোদমে কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অন্যদিকে সাধারণ ছুটিতে পাসপোর্ট অফিসগুলো বন্ধ রাখাতে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাতে হয়েছে সরকারকে।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাসপোর্ট বইয়ের সংকটের কারণে গত বছর ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট সরবরাহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। সেই সংকট যেন আর সৃষ্টি না হয় সে জন্য এই করোনার মধ্যেও বিশেষ বিমানে চার লাখ পাসপোর্ট বই বিদেশ থেকে আনা হয়েছে।

গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর পাসপোর্ট অফিস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত ৩১ মে থেকে আবার চালু হয়েছে। তখন থেকে শুধু এমআরপির নবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। যাদের অতি জরুরি প্রয়োজন শুধু তাদের পাসপোর্ট নবায়ন করে দেওয়া হচ্ছে। নতুন পাসপোর্ট ও ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে বায়ো এনরোলমেন্টের দরকার হওয়ার কারণে বন্ধ রাখা রয়েছে। নতুন আবেদনকারীদের কোনো আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে যেখানে প্রতিদিন সারাদেশে ১৫ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ত, সেখানে তা নেমে এসেছে কয়েক শতে।

Travelion – Mobile

দৈনিক কালেরকন্ঠ জানাচ্ছে, সরকারের রাজস্বের বড় একটি খাত পাসপোর্ট। প্রতিদিন গড়ে ১৪ হাজার আবেদনকারী আবেদন করতেন। তাদের কাছ থেকে গড়ে চার হাজার টাকা করে ফি পাওয়া গেলেও এর পরিমাণ দাঁড়ায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি। প্রতি মাসে ২২ কর্মদিবসে শত কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আসত সারাদেশের পাসপোর্ট অফিস থেকে। বর্তমানে প্রতিদিন অতি জরুরি এমআরপি পাসপোর্টের জন্য তিন-চার শর বেশি আবেদনকারী নেই। ফলে প্রতিদিন রাজস্ব নেমে এসেছে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র পত্রিকাটিকে জানায়, প্রতিবছর পাসপোর্ট অফিস থেকে ১২০০ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব পায় সরকার। এই হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে রাজস্ব আদায় হয় ১০০ কোটির বেশি। কিন্তু এ বছর করোনায় পাসপোর্টের রাজস্ব চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। গত চার মাসে সরকার চার শ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব হারিয়েছে।

ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ পত্রিকাটি বলেন, ‘আমরা সীমিত আকারে অফিস চালাচ্ছি। যাতে জরুরি নবায়নের কাজগুলো করা যায়। আমরা পুরোদমে অফিস চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সরকারের নির্দেশ পেলেই পুরোদমে কাজ শুরু করা হবে। আর পুরোদমে অফিস খোলার পর পাসপোর্টের একটা চাপ আসবে। সেই চাপ সামলানোর জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!