বিমানে নিয়োগ : প্রশ্নফাঁসে জড়িত ৮ কর্মকর্তা এখনো কমিটিতে

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত বিমানের অন্তত ৮ কর্মকর্তা এখনো পরীক্ষা ও নিয়োগ কমিটির সদস্য রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থার অভ্যন্তরীণ কয়েকটি সূত্র।

এভিয়েশনের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

বিমানের ৭ সদস্যের একটি পরীক্ষা কমিটি এবং ৭ সদস্যের আরেকটি নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ৩-৪ জন করে কর্মকর্তা প্রতিটি কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন।

Travelion – Mobile

আজ শনিবার বিমানের ট্রাফিক সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

গত বছরের অক্টোবরে প্রশ্নফাঁসের ঘটনা তদন্তে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিমান ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ পৃথক ৩টি কমিটি গঠন করে।

কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমানের প্রায় ৪১ জন কর্মকর্তার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া গেছে।

প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ সামনে আসার পর জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল), ড্রাইভার এবং জুনিয়র টেইলরসহ কয়েক শ পদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিমান।

মন্ত্রণালয় এবং বিমান কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও জাহিদ হোসেন পুরো নিয়োগ পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি তত্ত্বাবধান করেছিলেন। যা পরীক্ষার কমিটির সভার কার্যবিবরণীতে অনুপস্থিত এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অনুপযুক্ত ইউএসবি ড্রাইভে বহন করা হয়।

কমিটি ৪১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এবং ভবিষ্যতে নিয়োগ পরীক্ষা কমিটিতে কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ করেছে।

বিমানের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিমানের এমডি জাহিদ ও বিমানের নিরাপত্তা উপমহাব্যবস্থাপক মেজর তাইজকে অপসারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের এমডি শফিউল আজিম কোনো মন্তব্য করেননি।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বিমানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তাকে পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রশাসনিক কাজের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
সূত্র ; দ্য ডেইলি স্টার

এভিয়েশনের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!