বিমানবন্দর না সমুদ্রবন্দর ! আম্ফানে লন্ডভন্ড কলকাতা বিমানবন্দর
সাইক্লোন আম্ফানের ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পায়নি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ৷ ঝড় পরবর্তী বিমানবন্দরের চিত্র দেখে বোঝা মুশকিল ছিল এটা বিমানবন্দর নাকি সমুদবন্দর। রানওয়ে থেকে শুরু করে হ্যাঙার, যেখানেই চোখ যাবে শুধু জলে থইথই করছে ৷
বুধবার সন্ধ্যায় আমফান ধ্বংসলীলা চালায় বিমানবন্দরেও ৷ ১২০ কিলোমিটার বেগের ঝড়ে পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছে বিমানবন্দরের অনেক অংশ। ক্ষতি হয়েছে টারম্যাক, রানওয়ে এবং হ্যাঙ্গারসহ অনেক কাঠামোরও।
আম্ফানের কারণে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হ্যাঙ্গারে থাকা একটি বেসরকারি উড়োজাহাজ, এমনটাই জানালেন এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India). চেয়ারম্যান ও সিএমডি রাজীব বনশল। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজীব বনশল বলেন, “কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের দুটি বিমানের কোনও ক্ষতি হয়নি। হ্যাঙ্গার কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হ্যাঙ্গারে রাখা একটি ছোটো বেসরকারি বিমানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে”।
West Bengal: A portion of Kolkata Airport flooded in wake of #CycloneAmphan. pic.twitter.com/J4vqFW39no
— ANI (@ANI) May 21, 2020
বিমানবন্দরের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, দু’টি হ্যাঙারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে ওগুলি ব্যবহার করা হত না বলে জানিয়েছেন তিনি।
একটি বিমানকে দেখা গেল হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, দু’টি হ্যাঙ্গার মেরামত করার মতো পরিস্থিতিতে নেই এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তবে সেগুলি অব্যবহৃত ছিল।
#WATCH West Bengal: A portion of Kolkata Airport flooded in wake of #CycloneAmphan pic.twitter.com/28q5MdqoD2
— ANI (@ANI) May 21, 2020
বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
২৫ মার্চ থেকে যাত্রী উড়ান বন্ধই ছিল করোনভাইরাসের কারণে লকডাউনের জেরে। সেই সময় থেকে কার্গো এবং উদ্ধারকার্যে নিযুক্ত বিমানই চলছে।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবা আপাতত ব্যাহত হলেও আগামী সোমবার, ২৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে দেশীয় উড়ান পরিষেবা। সে জন্য আগে থেকে কলকাতা-সহ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। গতকাল কেন্দ্রীয় বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী টুইট করে এ কথা জানিয়েছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ রাত ১২টার পর দেশ জুড়ে যাত্রিবাহী বিমান পরিষেবার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে দেশের মধ্যে এবং কিছু আন্তর্জাতিক রুটে পণ্যবাহী বিমান চালু ছিল।