বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই ওমানপ্রবাসীর মৃত্যু

সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন প্রথমাচর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ জালাল মিয়া (৫৭)। সাত বছর ধরে ভিসা-পতাকাহীন অবৈধভাবে ওমানে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। পেশায় ছিলেন পেইন্টার থাকতেন রাজধানী মাস্কাটের আজাইবা এলাকায়।

প্রতীক্ষায় ছিলেন সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে আউটপাস দিবে, তখনই দেশে ফিরবেন। হঠাৎ মাস খানেক তার কিডনী সমস্যা ধরা পড়ে। তিনি দ্বারস্ত হলেন ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে। তার জটিল রোগের কথা শুনে দূতাবাসের আইন সহায়তাকারী মাসুদ করিম দ্রুততার সাথে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেন। শুধু তাই নয়, মাসুদ করিম নিজেই তাকে বিমান পর্যন্ত পৌছে দেন। সাথে তার এক ভাতিজাকেও দেখভালের জন্য সঙ্গী হিসাবে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে করে তিনি ওমান ছাড়েন।

মাস্কাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম-ঢাকা হয়ে শেষ পর্যন্ত পৌঁছান সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখান থেকে মাত্র চল্লিশ কিলোমিটারের পথ পাড়ি দিলেই নিজ বাড়ি, পরিবার পরিজনের সানিধ্য। না নিজ বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারলেন না জালাল মিয়া তার আগে না ফেরার দেশে চলে গেলেন হতভাগ্য এই রেমিট্যান্সযোদ্ধো। দীর্ঘ সাত বছর পর দেশে ফিরেও স্ত্রী সন্তানদের মুখটা দেখার সুযোগ হলো না তার, আর পরিবার কাছে পেয়েও হারালো প্রিয়জনকে।

Travelion – Mobile

এমন হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে বের হয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাওয়ার মুহুর্তে গুরুতর অসুস্থতা অনুভব হলে সাথে থাকা ভাতিজা সাদিক মিয়া স্থানীয় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করিয়ে দেন। কয়েকঘন্টা পর হাসপাতালেই মারা যান জালাল মিয়া।

ওমানে দীর্ঘদিন তার সাথে থাকা তার আত্মীয় দেলোয়ার বলেন,’এক ছেলে এক মেয়ের জনক ছিলেন তিনি। প্রবাসে থাকায় একমাত্র মেয়েকে জন্মের পর থেকে এক নজর দেখতেও পারেনি। অসুস্থ হলে তিনি পরিবারের কাছে ফিরে যেতে ব্যকুল হয়ে গেলে আমরা সবাই মিলে দূতাবাসের সহযোগিতায় তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। নিয়তির কি নির্মমতা, দেশে ফিরে গিয়েও পরিবারের কাছে যেতে পারলেন না।’

আগের খবর :
চট্টগ্রাম-মাস্কাট রুটে আজ থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট
ওমানে ভ্যাটের আওতামুক্ত পণ্য-পরিষেবাগুলো
মায়ের কোলেই মারা গেলেন ওমানপ্রবাসী যুবক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!