বিমানবন্দরে আড়াই বছর পর মা-ছেলের দেখা

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছেলে লিয়ামকে দেখে দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন অ্যালিসন হেনরি। কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। লন্ডন থেকে আসা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট থেকে নেমে ৬৩ বছরের হেনরি বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আড়াই বছর পর ছেলেকে দেখব। এই অনুভূতি বলে বোঝানো যাবে না।’ খবর এএফপির

গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। সে কারণে দেখা হয়নি মা–ছেলের। তবে দেখা না হলেও প্রতি সপ্তাহে ফোনে কথা বলতেন তাঁরা। লিয়াম বলেন, ফোনে কথা বলা আর সরাসরি দেখা হওয়ার আনন্দ একেবারেই আলাদা।

লিয়াম ব্রুকলিনে বেশ কয়েক বছর ধরে বসবাস করছেন। ফেসশিল্ডের মধ্যে দিয়েও দেখা যায় তাঁর চোখের জল। মা ও নানির সঙ্গে অনেক জায়গায় বেড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে লিয়ামের। তাঁরা একসঙ্গে সময়টা কাটাতে চান।

Travelion – Mobile

লিয়ামের মা অ্যালিসন হেনরি বলেন, ‘প্রতিদিন আমরা খবর শুনতাম। অপেক্ষা করতাম কবে যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত খুলবে। গত মাসে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর তাঁরা টিকিট কাটেন।’

জেএফকে বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৭–এ ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রথম যাত্রীদের লাল, সাদা, নীল বেলুন ও হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। তাঁদের হলুদ ট্যাক্সির মতো আকারের বিস্কুট, বড় আপেল ও স্ট্যাচু অব লিবার্টি উপহার দেওয়া হয়।

অপেক্ষায় ছিলেন জিল চেম্বারস এক নারী। তিনি ৭৩০ দিন পর তাঁর ভাগনিদের সঙ্গে দেখা করবেন। একসঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেবেন। জিল চেম্বারসের বোন লুইস এরেবারা সতর্কতা জারি করে বলেন, ‘আমার কান্না আসছে। করোনাভাইরাসের কারণে তাঁদের সঙ্গে আমার দেখা হয়নি। জানতাম না কবে দেখা হবে।’

ম্যাক্সের সঙ্গে দীর্ঘদিন দেখা হয়নি তাঁর বন্ধু ও পরিবারের। ম্যাক্স বলেন, ‘জুমে বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলতাম। তবে তাতে মন ভরত না।’

নিউইয়র্কে আসার পর আনন্দ প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিন ডয়েল। তিনি বলেন, ভ্রমণের অভিজ্ঞতা খুব আনন্দদায়ক। এত দিন বন্ধ থাকার পর এই ফ্লাইট চালুর ঘটনাকে মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!