বিকল হয়ে পড়ে আছে বিমানের নতুন ড্যাশ-৮

ডেইলি স্টার প্রতিবেদন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বহরের নতুন ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিকল হয়ে পড়ে আছে। পাইলটের অদক্ষতায় এর ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিমান জানায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার পথে এ সমস্যা তৈরি হয়। তখন এটি পরিচালনা করছিলেন বিমানের ট্রেনিং বিভাগের উপপ্রধান পাইলট ক্যাপ্টেন রুবাইয়াত।

৭১ জন যাত্রী নিয়ে উড়োজাহাজটি যখন আকাশে ছিল, পাইলট তখন ইমারজেন্সি পাওয়ার (মেটাল-টু-মেটাল থ্রাস্ট) ব্যবহার করেছিলেন। এতে ড্যাশ-৮ এর ২টি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়।

Travelion – Mobile

ইঞ্জিনকে কার্যকর করতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন হতে পারে বলে জানিয়েছে বিমান। তবে পরিমাণ কত, তা এখনো নিশ্চিত না।

বিমানের কর্মকর্তারা জানান, সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে পাইলটরা সাধারণত ইমারজেন্সি পাওয়ার বা জরুরি শক্তি প্রয়োগ করেন। কিন্তু এতে উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিমানের এক পাইলট বলেন, ‘ইমারজেন্সি পাওয়ার ব্যবহার করলে অবতরণের পর পাইলটকে ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায় হয় এবং লগবুকে লিখে রাখতে হয়।’

এ সব ক্ষেত্রে উড়োজাহাজটিকে ওয়ার্কশপে নিয়ে ইঞ্জিনের অনেক ধরনের কাজ করানো ছাড়া সেটি উড্ডয়নের উপযোগী হয় না বলে জানান তিনি।

তবে ওই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট পাইলট বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাননি।

এভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নিয়মিত পরিদর্শনের পর ২ ফেব্রুয়ারি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজটিকে উড্ডয়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয়।

সেদিন থেকে ৭৪ আসনের ড্যাশ এইট কিউ-৪০০ উড়োজাহাজটি শাহজালালের হ্যাঙ্গারে বসে আছে।

সরকারি ক্রয় পদ্ধতির অধীনে কানাডার ডি হ্যাভিল্যান্ড থেকে এটিসহ ৩টি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ কেনে বাংলাদেশ। এটি গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আনা হয়।

জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, তারা বিমানের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করতে বিমানটির ইঞ্জিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি কানাডাকে জানিয়েছেন।

‘কী কারণে এটি ঘটেছে, পাইলট কী পরিস্থিতিতে জরুরি শক্তি ব্যবহার করেছেন এবং বিমান উড্ডয়নে তার কোনো দোষ ছিল কি না, তা জানতে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিমান,’ বলেন তিনি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!