বাহরাইনের লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশ বাদ, কোয়ারেন্টিনের প্রয়োজন নেই
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতির কারণে বাহরাইন সরকার বাংলাদেশসহ ১১টি দেশের নাম ভ্রমণের লাল তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আগামী রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বাহরাইনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সরকারি এই সিদ্ধান্তে কথা ঘোষণা করে।
কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম বাদ দেওয়ায় এখন বাহরাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের অনুমোদিত করোনার টিকার পূর্ণ কোর্স নেওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশটিতে প্রবেশের পর বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
তা ছাড়া ফ্লাইটের ওঠার ৭২ ঘন্টা আগে দেশে পিসিআর পরীক্ষায় নেওয়া করোনা নেগেটিভ সনদেরও প্রয়োজন হবে না। শুধু বাহরাইন বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে একবার পিসিআর পরীক্ষা এবং প্রবেশের পর ৫ম ও ১০ম দিনে আরও দুইবার পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে।
এতদিন লাল তালিকায় থাকায় দেশ থেকে বাহরাইনে ফেরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাড়ি ভাড়া চুক্তি প্রর্দশনে হোম কোয়ারেন্টিনে আর বাড়ি ভাড়া চুক্তি না থাকলে ১০ দিনের হােটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে হতো। সাধারণ প্রবাসীদের জন্য হােটেল কোয়ারেন্টিনের খরচ বহন করা অনেকে কষ্টকর ছিল।
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, যাদের করোনার টিকার পূর্ণ কোর্স দেওয়া নেই তারা আগের নিয়মেই বাহরাইনে প্রবেশ করতে পারবেন ।
লাল তালিকা থেকে বাংলাদেশকে বাদ দেওয়ায় বাহরাইন সরকারকে টুইট বার্তায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম।
প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠকরাও এই সিদ্ধান্তে জন্য বাহরাইন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। তাদের মতে এই সিদ্ধান্তে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাহরাইন ফেরার ক্ষেত্রে বড় বাধা দূর হয়েছে।”
সরকার নিবন্ধিত কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আসিফ আহমেদ দ্যা ডেইলি স্টারকে বলেন, হোটেল কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাংলাদেশিদের ৩০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা খরচ হতো। দূতাবাস ও কমিউনিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে খরচ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাড়তি এই খরচ সাধারণ অনেক প্রবাসীদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
প্রায় ১৮ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ২ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন।
ফা্ইল ছবি : বাহরাইন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশিরা