বাসায় মাস্ক পরলে ৭৯ শতাংশ করোনা সংক্রমণ কমবে

বাইরে গেলে তো বটেই, বাড়িতেও মাস্ক পরা ভালো। এতে করে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া ঠেকানো সম্ভব। তাই গবেষকেরা বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকার উপদেশ দিয়েছেন।

স্বাস্থ্যবিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নাল গ্লোবাল হেলথ-এ গত বৃহস্পতিবার গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বাসাবাড়িতে মাস্ক পরলে ৭৯ শতাংশ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকানো সম্ভব। তবে প্রথম কোনো সংক্রমিত ব্যক্তির উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই পরিবারের সদস্যরা মাস্ক পরা শুরু করলেই কেবল এই ফল পাওয়া যাবে। জীবাণুনাশক দিয়ে বারবার ঘর পরিষ্কার করলে প্রায় সমান ফল পাওয়া যাবে। এই উপায় মানলে সংক্রমণ ছড়ানো ঠেকানো যাবে ৭৭ শতাংশ।

গবেষণাটি বলছে, সংক্রমণের উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। তবে পূর্বসতর্কতা (ওষুধ নেওয়া ছাড়া) যেমন বাড়িতে মাস্ক ব্যবহার, জীবাণুনাশক দিয়ে ঘর পরিষ্কার ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চললে সংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।

Travelion – Mobile

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের স্কুল অব হাইজিন স্কুলের অধ্যাপক স্যালি ব্লোমফ্লিড বলেন, এই সময়ের জন্য গবেষণাটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। লকডাউন শিথিল হচ্ছে। মানুষ বাইরে যাচ্ছেন। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজে দেবে গবেষণাটি।

গত বছর চীনের উহান শহর থেকে করোনার সংক্রমণের সূত্রপাত। এরপর ধীরে ধীরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ উই জুনিইউ জানান, এক হাজারের বেশি গুচ্ছ সংক্রমণের ঘটনার ওপর গবেষণা করা হয়। দেখা যায়, ৮৩ শতাংশই ঘটেছে পরিবারের মাধ্যমে। সুপার মার্কেট বা বিদ্যালয় থেকে ঘটেনি।

নতুন গবেষণার জন্য গবেষকেরা চীনের বেইজিংয়ের ১২৪ পরিবারের ৪৬০ জনের সঙ্গে কথা বলেন, যাঁরা সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ সময় তাঁদের পরিবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য কার্যক্রমের ওপর প্রশ্ন করা হয়। ১২৪টির মধ্যে ৪১টি পরিবারে প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে অন্য সদস্যরা সংক্রমিত হন। যেসব পরিবারের সদস্যরা বারবার জীবাণুনাশক দিয়ে ঘর পরিষ্কার করেছিলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি ছিল খুব কম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!