বাংলাদেশ হতে পারে মুসলিমবান্ধব জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য
বাংলাদেশে নান্দনিক স্থাপত্যের মসজিদ, ইসলামিক প্রত্নতত্ত্ব স্থান, মাজার এবং বিভিন্ন ইসলামিক স্মারক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এসব নিদর্শন বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরে মুসলিমবান্ধব পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হবে বাংলাদেশ- এমনটি প্রত্যাশা করছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেছেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশে মুসলিমবান্ধব পর্যটন বিকাশে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আর এ লক্ষ্য কাজ করছে সরকার ।’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) অঙ্গ সংস্থা স্ট্যাটিস্টিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজ আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে মুসলিমবান্ধব পর্যটন অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল একটি পর্যটন পণ্য। শুধু মুসলিম দেশেই নয়; অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান এবং নিউজিল্যান্ডের মতো নন-মুসলিম দেশগুলোও এই পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে মুসলিমবান্ধব পর্যটন পণ্য এবং সেবার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সারা বিশ্বের মুসলিম পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য মুসলিমবান্ধব পর্যটনের বিকাশে তারা কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। তার সবই মুসলিমবান্ধব পর্যটন বিকাশে অনুকূল ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করব আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তারা পর্যটনের এই নতুন ধারণা বিকাশে কাজ করবেন।’
অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘পর্যটন শুধু একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই নিশ্চিত করে না, তা একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করে। একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে জানার সুযোগ করে দেয়। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আমরা সকল পর্যটককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন স্ট্যাটিস্টিক্যাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজের মহাপরিচালক নেবিল দাবুর ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।