বাংলাদেশ থেকে বীজ ও চারা আমদানিতে কাতারি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ

বাংলাদেশ থেকে বীজ ও চারা আমদানির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে কাতারের কৃষিভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আল সুলাইতিন গ্রুপ। এ ছাড়া কৃষিতে স্নাতক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা কেন্দ্রে শিক্ষানবিস হিসেবে নিয়োগ দেওয়ারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার রাজধানী দোহায় কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন এবং আল সুলাইতিন গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সালেম আল সুলাইতিনের মধ্যে বৈঠকে এই আগ্রহ ও প্রস্তাবের কথা উঠে আসে।

আল সুলাইতিন গ্রুপ কাতারে অন্যতম বৃহৎ কৃষি খামার পরিচালনা, ল্যান্ডস্কেপিং এবং হাইড্রোপনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে ফুল, শাক ও সবজি উৎপাদন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটির কৃষি খামারে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োজিত আছেন।

Travelion – Mobile

বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে কৃষি কর্মী বৃদ্ধি, কৃষি উপাদান আমদানি এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন কৃষিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের কথা তুলে ধরেন। তিনি কৃষি কাজে বাংলাদেশি কর্মীদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে কৃষি কর্মীর পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি পদে বাংলাদেশিদের নিয়োগের অনুরোধ জানান ।

বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় বীজ ও চারা আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে আল সুলাইতিন গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সালেম আল সুলাইতিন তাদের চাহিদার একটি তালিকা রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের যে কোন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাশ করা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে স্বল্প মেয়াদের জন্য আল সুলাইতিন কৃষি গবেষণা, অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (Al Sulaiteen Agricultural Research, Studies & Training Center) শিক্ষানবিস হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব দেন।

এসব শিক্ষানবিস কাতারে ভিন্ন এক ভূ-প্রাকৃতিক পরিবেশে কৃষি বিষয়ে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন বলে গ্রুপের চেয়ারম্যান আশা করেন।

বৈঠকে দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক) মো. মাহবুর রহমান, কৃষি প্রল্প ড. আহমেদ মুস্তাফা, গ্রুপ ফাইন্যান্স ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
গত মাসে কাতারে প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে চারা গাছ রপ্তানির সূচনা করে বাংলাদেশ। আট প্রজাতির ৩৭৪৭টি চারা গাছের চালান কাতারে রপ্তানি করা হয়। কাতারে বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আল নাইমি ল্যান্ডস্ক্যাপিং এই চারা গাছগুলো বাংলাদেশ থেকে কাতারে আমদানি করে।

বাংলাদেশি রপ্তানিকারক কুমিল্লার বিজরা এন্টারপ্রাইজ জানায়, এর আগে উড়োজাহাজে দেশটি চারা রপ্তানি হতো। কিন্তু এই আকাশপথে রপ্তানি অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে দেশটির বাজার দখল করা কঠিন ছিল। এখন সমুদ্রপথে রপ্তানির উদ্যোগের ফলে প্রচুর পরিমাণ রপ্তানির সুযোগ হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!