বাংলাদেশ থেকে তুরস্কে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, চলবে তার্কিশের ট্রানজিট ফ্লাইট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশসহ ছয় দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তুরস্ক। অন্য দেশগুলো হলো–ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। গতকাল সোমবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, আগামী ১ জুলাই থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ছয় দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ অনুযায়ী এই দেশগুলো থেকে স্থল, বিমান, সমুদ্র বা রেলপথসহ যে কোনও পথে সরাসরি প্রবেশের জন্য তুরস্কের সীমানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

তবে, বাংলাদেশসহ এই ছয় দেশের নাগরিকদের জন্য তৃতীয় কোন দেশে ১৪ অবস্থানের পর তুরস্কে প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর পরীক্ষার করোনা নেগেটিভ সনদ দেখাতে হবে।

এ ছাড়াও, তুরস্কে পৌঁছানোর পর তাদের বিভিন্ন প্রদেশে সরকার নির্ধারিত হোটেলে নিজ খরচে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। ১৪তম দিন শেষে আরেকবার করোনা পরীক্ষা করতে হবে এবং ফলাফল নেগেটিভ হলে তাদের কোয়ারেন্টিন শেষ হবে।

এদিকে, এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ঢাকা রুটে চলাচলকারী তুরস্কের জাতীয় উড়োজাহাজ চলাচল সংস্থা টার্কিশ এয়ারলাইনস তুরস্কে সরাসরি যাত্রী পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। তবে, সংস্থাটি এই রুটে ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত রাখবে।

টার্কিশ এয়ারলাইনসের ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা এজাজ কাদেরি জানান, ফ্লাইটে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশের ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করা হবে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তুরস্কে ৫৪ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৯ হাজার ৬৩৪ জন মারা গেছেন।

দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত তুরস্কে তিন কোটি ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ এবং ৮৩ লাখ মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!