বাংলাদেশ থেকে আবারও গৃহকর্মী নিচ্ছে সৌদি আরব

কোভিড মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আফ্রিকা ও এশিয়ার আট দেশ থেকে আবারও গৃহকর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এই আট দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। দেশটির একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গালফ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

সৌদির মানবসম্পদ এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাদ আল হামাদ দেশটির দৈনিক আল ইকতিকে বলেন, আট দেশ থেকে গৃহকর্মী নেওয়া হবে। মোট ১৬ দেশ এ সুযোগ পাবে। সৌদি আরবে গৃহকর্মী নিয়োগের অনুমতি পাওয়া দেশগুলো হলো—ফিলিপাইন, নাইজার, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, মৌরিতানিয়া, উগান্ডা, ইরিত্রিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, মাদাগাস্কার, উজবেকিস্তান, কম্বোডিয়া, মালি ও কেনিয়া।

সৌদি আরব নিজেদের শ্রমবাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। এ জন্য দেশটিতে নতুন ‘লেবার প্রোগ্রাম’ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় দেশটিতে কর্মীদের ভিসা ইস্যু, নিয়োগের অনুরোধ, নিয়োগকর্তা ও কর্মীদের চুক্তিভিত্তিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন ধরনের সেবার বিষয়ে জানানো হয়।

Travelion – Mobile

আরও পড়তে পারেন : লিবিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে বাংলাদেশ

এদিকে গত অর্থবছরে সৌদি আরব থেকে কারামুক্ত হয়ে ফিরেছেন প্রায় ৫ হাজার নারী গৃহকর্মী। শুধু যৌন নিপীড়ন নয়, সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে অনেক নারী ফিরছেন সন্তান নিয়েও। আবার অনেকেই দেশে আসছেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে। সরকারি হিসাব প্রকাশ করা না হলেও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের হিসাবে গত তিন বছরে সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেছেন ১২ জন। আর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফিরেছেন ৬৫ জন নারী।

গত ২২ অক্টোবর রাতেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফেরেন এক বাংলাদেশি নারী কর্মী। মানসিক বিপর্যস্ত অবস্থায় চার দিন বিমানবন্দরে থেকে ২৬ অক্টোবর তাকে উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, নারীদের জন্য সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে গৃহকর্মীর কাজ অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের শিকার হন নারীরা। এই পরিপ্রেক্ষিতে নারীদের গৃহকর্মীর কাজে না যেতে নানাভাবে সচেতন করছে বিভিন্ন এনজিও।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!