বাংলাদেশে ফ্লাইট স্থগিত করল থাই এয়ারওয়েজ

করোনাভাইরাসের জের

করোনাভাইরাসের জেরে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করল থাই এয়ারওয়েজ। আগামী ১লা এপ্রিল থেকে ২৩মে পর্যন্ত ৫৩ দিন ব্যাংকক-ঢাকা-ব্যাংকক রুটের ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে থাইল্যান্ডের জাতীয় বিমানসংস্থাটি।

আজ ১৬ মার্চ (সোমবার) বিমানসংস্থার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, ব্যাংকক-ঢাকা-ব্যাংকক রুটে প্রতিদিন ২ টি করে সপ্তাহে ১৪ টি ফ্লাইট পরিচালনা করে থাই এযারওয়েজ। করোনাভাইরাস আতংকে যাত্রী সংকটের কারণে গত প্রায় একমাস ধরে তাদের সাপ্তাহিক ফ্লাইটগুলো অনিয়মিতভাবে চলাচল করে। সপ্তাহে ৮/৯ টি ফ্লাইটের বেশি ছিল না।

Travelion – Mobile

বর্তমানে থাইল্যান্ডে করোনাভাইরাস প্রাদূর্ভাব বেড়ে যাওয়াও বাংলাদেশ থেকে দেশটি ভ্রমণে যাওয়া যাত্রীর পরিমাণ আরও কমে যায়, যার প্রেক্ষিতে ফ্লাইট স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সংস্থার ঢাকা অফিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

অন্যদিকে ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারী থাইল্যান্ডের লো-কস্ট বিমানসংস্থা থাই লায়ন এয়ারের ফ্লাইট স্বাভাবিকভাবেই চলছে। থাই অংশীদারদের সাথে পরিচালিত ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের সহযোগী সংস্থাটি ব্যাংকক-ঢাকা-ব্যাংকক রুটে সপ্তাহে ৪ দিন চলাচল করে।

ব্যাংকক রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চলাচল এখনও অব্যাহত রাখলেও যে কােন সময় বন্ধ হওয়ার আশংখা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ সপ্তাহে তিনটি এবং ইউএস বাংলা ৪ টি ফ্লাইট অপারেট করে।

বিমান বাংলাদেশের বিষয়ে নিশ্চিত কোন খবর পাওয়া যায়নি তবে ইউএস বাংলা আগামী ১লা এপ্রিল থেকে এই রুটে ফ্লাইট স্থগিতের পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। ট্রাভেল এজেন্টদের সূত্র জানিয়েছে, তাদের টিকেটিং সিস্টেমে ১ লা এপ্রিল থেকে ব্যাংকক রুটে ইউএস বাংলার ফ্লাইট ‘শো’ করছে না।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেসন) কামরুল ইসলাম আকাশযাত্রাকে বলেন,”বিষযটি পর্যবেক্ষণের পর্যায়ে আছে, এখনও চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয় নি। সবকিছুই নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর।”

“যেহেতু রুটটি একমূখী ও পর্যটকনির্ভর এবং বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে থাইল্যান্ডে পর্যটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে তাই ফ্লাইট স্থগিতের পথে যাওয়া ছাড়া উপায় নাও থাকে পারে”, তিনি যোগ করেন।

থাইল্যান্ডে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৭ জন। সোমবার একদিনেই ৩৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে একজনের। আক্রান্তদের মধ্যে ১০৮ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আর এরই মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৩৬ জন।

আক্রান্তের হার আর মৃতের সংখ্যায় খুব একটা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় না থাকলেও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন নির্ভরশীল থাইল্যান্ড।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!