বাংলাদেশে করোনা-আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ
কুমিল্লায় সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসীর করোনার লক্ষণ
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠছেন। তৃতীয়জনের চিকিৎসা চলছে।
এদিকে কুমিল্লার চান্দিনায় সিঙ্গাপুর থেকে আসা প্রবাসীর মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রবাসী ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করতে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়েছে মহামারী রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) টিমের সদস্যরা।
আজ বুধবার (১১ মার্চ) আইইডিসিআর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা।
তিনি বলেন, আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠছেন। অন্তত প্রথম পরীক্ষায় এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁদের আবার পরীক্ষা করা হবে। আর তৃতীয়জনের চিকিৎসা চলছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক আরও বলেন, নতুন করে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। এখন মোট আটজন আইসোলেশনে আছেন। আর কোয়ারেন্টাইনে আছেন চারজন।
রোববার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন জন শনাক্তের কথা গত ঘোষণা করে আইইডিসিআর। এর মধ্যে দুজন ইতালি থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। তাঁদের কাছ থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ, একজন নারী।
বুধবার সকালে প্রবাসী যুবক আইইডিসিআর এর নির্ধারিত নম্বর ফোন করে তাঁর সমস্যা জানান। আইইডিসিআর থেকে জেলা সিভিল সার্জনের কাছে ফোন আসে। জেলা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খবর আসার পর তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন।
প্রবাসী ওই যুবক চান্দিনা উপজেলার কামারখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে সিঙ্গাপুর যাই। ২০১৯ সালের মে ছুটিতে এসে বিয়ে করে আবার আগস্ট মাসে সিঙ্গাপুর চলে যাই। চলতি মাসের ৬ তারিখ আমি সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে আসার পর বিমানবন্দরে আমাকে চেক করে একটি কার্ড দেয়। গত ৩দিন যাবৎ আমার জ্বর, সর্দি ও গলা ব্যথা থাকায় আমি আজ (বুধবার) সকালে ওই কার্ডে থাকা নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানাই।’
চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আহসানুল হক জানান- ওই ছেলেটির সাথে আমার কথা হয়েছে। তার যে সমস্যা তাতে ধারণা করা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ রয়েছে। তাকে ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। ঢাকা থেকে আইইডিসিআর টিম রওনা করেছে। ওই টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এদিকে, সকাল থেকে এ ঘটনা শোনার পর এলাকায় বেশ আতংক সৃষ্টি হয়েছে। ওই প্রবাসীর বিষয়ে জানতে কামারখোলা গ্রামের একাধিক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে ওই বাড়িতে কেই যেতে রাজি হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ জানান- এখনই আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত করোনাভাইরাস নিশ্চিত হয়। এছাড়া প্রবাসী যুবককে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।