বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসায় ইতালির রাষ্ট্রপতি

ইতালির রাষ্ট্রপতি সেরজিও মাত্তারেল্লার বাংলাদেশের বিভিন্ন কাজে অসাধারণ সাফল্যরে প্রশংসা করেছেন। দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসানের পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে একান্ত বৈঠকে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ র্মাচ) রোমে অবস্থতি রাষ্ট্রতির সরকারি বাসভবন ‘কুইরিনাল প্যালেসে’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির কাছে শামীম আহসান তার পরিচয়পত্র পেশ করেন। রাষ্ট্রদূতের মোটর শোভাযাত্রা কুইরিনাল প্যালেসে পৌঁছানোর পর এবং বিদায়ের সময় প্রেসিডেন্ট রেজিমিন্টের একটি চৌকসদল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

একান্ত বৈঠকে ইতালির রাষ্ট্রপতি বাংলাদশেরে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান এবং তার দায়িত্ব পালনের সময় সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এসময় রাষ্ট্রদূত আহসান রাষ্ট্রপতিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে বাংলাদশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত তাকে অবহিত করেন।

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘উন্নয়নরে ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্যের কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে বাংলাদশ একটি রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে স্বীকৃত।’

বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের বিষয়ে অবগত আছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মাত্তারেল্লা আগামী দিনগুলোতে দু’দশেরে সম্পর্ক আরো জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কঠোর পরিশ্রমী অবহিত করে ইতালির অর্থনীতিতে তাদের অবদানেরও প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ‘ফ্লুসি ডিক্রিতে (সিজনাল কৃষি স্পন্সর) বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতালি সরকারকে ধন্যবাদ জানান। প্রসঙ্গত:‘ফ্লুসি ডিক্রির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনয়িনরে সদস্য বহির্ভূত দেশগুলোর নাগরিকরা সিজনাল এবং নন-সিজনাল কাজের জন্য ইতালি আসার সুযোগ পেয়ে থাকেন। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ইতালির গঠনমূলক অবস্থানের জন্য রাষ্ট্রদূতের ধন্যবাদ জ্ঞাপনের জবাবে ইতালরি রাষ্ট্রপতি প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনিা ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে ইতালি সফরকালে ২০২২ সালে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কপ্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি যৌথভাবে উদযাপনের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাতে উভয়পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উত্তরোত্তর জোরদার ও ঘনিষ্ঠতর হচ্ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রদূত আহসান ইতালির রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

পরিচয়পত্র পেশ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার সহধর্মিণী পেন্ডেরা চৌধুরী, দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, কাউন্সেলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হকসহ ইতালি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শামীম আহসান ইতালির আগে নাইজেরিয়ায় বাংলাদশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি, রোম, নাইরোবি, দোহা এবং কুয়েতে অবস্থতি বাংলাদেশ মিশন এবং পরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে বিভিন্ন পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!