বাংলাদেশিদের কোরিয়া প্রবেশে সর্বোচ্চ সতর্কতার পরামর্শ, না হলে আবারও নিষেধাজ্ঞা!

দক্ষিণ কোরিয়া সফরের পরিকল্পনাকারী বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে ঢা্কার দূতাবাস। না হলে গত বছরের জুনে কোরিয়ান ভিসা স্থগিতাদেশের মত পরিস্থিতিতে পড়ার আশংখা দিতে পারে বাংলাদেশের জন্য।

আজ সোমবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার কারণে সর্বোচ্চ সতর্কমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে বাংলাদেশিদের সচেতন করা হচ্ছে।

এই বিষয়ে, দূতাবাস দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে যে, চলতি ফেব্রুয়ারি থেকে কোরিয়ায় প্রবেশের প্রক্রিয়া চলাকালীন “কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট” থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি নাগরিকদের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া যায়। অন্যদিকে মার্চ মাসের শেষে এ দেশে সংক্রমণ উল্লেখযােগ্যভাবে বেড়েছে, যা কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের জন্য গুরুতর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Travelion – Mobile

সবার সহযােগিতায় গত বছরের জুনে কোরিয়ান ভিসা স্থগিতাদেশের মত পরিস্থিতি এড়াতে চাইছি দূতাবাস। তাই আশা করছে, ‘কোরিয়ায় প্রবেশের আগে ও পরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ এড়াতে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিরক্ষামূলক এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কোরিয়া ভ্রমণকারীদের সক্রিয় ও স্বেচ্ছাসেবামূলক সহযােগিতা । না হলে ফলাফল অন্য বাংলাদেশিদের জন্য মারাত্মক হতে পারে।

দূতাবাসের বিজ্ঞপ্তিতে কোরিয়ায় প্রবেশের ২ সপ্তাহ আগে অন্য যে কারাে সাথে যােগাযােগ এড়াতে, ব্যক্তিগত কোয়ারেন্টিন কঠোর এবং দৃঢ়ভাবে পালন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড-১৯ এর লক্ষণ থাকলে ভ্রমণ পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং অনিয়মিত বিমান চলাচল স্থগিত করে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরিয়া গমনেচ্ছু বাংলাদেশি নাগরিকরা ঢাকার দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে পারছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সিউল বাংলাদেশ দূতাবাসও বোয়েসেলের নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ দক্ষিণ কোরিয়া সরকার বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর আরোপিত ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ফেসবুকে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সচেতনতামূলক পোস্ট দিয়েছে। তারা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কোয়ারেন্টিন দৃঢ়ভাবে পালন করার উপর জোর দিয়েছেন। কারণ কোরিয়ায় যাওয়ার পরেই অনেকেই কোভিড -১৯ পজিটিভ হচ্ছেন।

কোরিয়ার বাংলাদেশি কমিউিনিটর বিশষ্টজনদের মতে, কোরিয়ায় যাবে সে আশায় বাংলাদেশে হাজার হাজার তরুণ অপেক্ষার প্রহর গুনছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকলের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। না হলে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে বাংলাদেশ।

জানা যায় কোরিয়াতে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী করোনা চিকিৎসা খরচ ৩০ লাখ উওনের বেশি, পরিস্থিতি সাপেক্ষে ১ কোটি উওন পর্যন্তও খরচ হতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!