ফ্লাইট টিকেটের দাম বাড়লেও গলাকাটা হবে না : জাজিরা চেয়ারম্যান
করোভাইরাস পরবর্তী ফ্লাইট চলাচলের ধরণ ও নিয়মে নতুনত্ব ও পরিবর্তন আসবে সেহেতু টিকিটের দাম নিঃসন্দেহে বাড়বে, তবে তা গলাকাটা হবে না, এমনটি অভিমত কুয়েতের লো-কস্ট বিমান সংস্থা জাজিরা এয়ারওয়েজের।
সম্প্রতি তিনি কুয়েতের সাংবাদিকদের বলেন, ব এ খাতে পরিবহন খরচ কমানোর জন্য আমরা আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যদিও জ্বালানির দামে হেরফের ও উড়োজাহাজ চালনা ব্যয় বাদ দিয়েও এখানে টিকেটের দামে সরবরাহের সাথে চাহিদার বিষয়টি বেশ প্রভাব ফেলবে।”
করোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে নতুন অনেক বিষয় সামনে চলে আসবে বলে উল্লেখ করে তিনি ব্যাখা করেন, প্রথমদিকে ফ্লাইট চালুর পর চাহিদা তুলনায় টিকেট সরবরাহ কম হলে তা টিকেট মূল্যে প্রভাব ফেলবে।
এক্ষেত্রে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির আগে উড়োজাহাজ পরিচালনার সময় প্রতিদিন ১৩ ঘন্টার হলেও এখন তা কমিয়ে আনতে হবে। এর ফলে আসন সংখ্যা কম হবে এবং চাহিদা বেশি থাকবে।
তিনি আরো বলেন, প্রথমদিকে বিভিন্ন দেশে ও ভ্রমণ গন্তব্যে যাত্রীদের আগমনের বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত থাকবে; যেহেতু দেশগুলো তাদের বিমানবন্দর চালু করতে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিবে সেহেতু তাদের নিজস্ব সক্ষমতা অনুযায়ী তারা ফ্লাইটের সংখ্যাটিও নিয়ন্ত্রিত রাখবে।
এর মানে এই নয় যে, করোনা পরিস্থিতির আগের অবস্থার মত সব গন্তব্যে ফ্লাইট চালু হবে। আসলে যতদিন পর্যন্ত এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কার হচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত এই সময়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবেনা।
তবে একটি বিষয়ে আশাবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, তেলের দাম কম হওয়ায় বর্তমানে সব এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রে তা ইতিবাচক বিষয় হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ এতে অপারেটিং খরচ কমে যাবে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই তা বিমান টিকিটের দামও কমিয়ে আনার একটা সম্ভাবনা রাখে।
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা ও আয়াটার নির্দেশনা মেনে চললে আকাশ ভ্রমণ নিরাপদ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বুদাই। তাদের নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মানলে উড়োজাহাজগুলো ক্রু এবং যাত্রীদের কাছে নিরাপদ এবং পরিচ্ছন্ন বাহনে পরিণত হবে।