ফোর্বসের সেরার তালিকায় দুই বাংলাদেশি তরুণী

বিখ্যাত মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বসের সেরার তালিকায় উঠে এলেন দুই বাংলাদেশি তনয়ার নাম। বয়স তিরিশের কম এমন উদ্যোগী ও সমাজ পরিবর্তনকারীদের (চেঞ্জমেকার) যে তালিকা ফোর্বস বানিয়েছে, তাতেই নাম রয়েছে বাংলাদেশের মেয়ে রাবা খান ও ইশরাত করিমের।

বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) প্রকাশিত ফোর্বস এশিয়ার ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’ সেরার নামের তালিকাই এই দুজনের নাম উঠে এসেছে। ২০২০ সালের জন্য মোট ৩০ জন এশীয় উদ্যোগীদের নিয়েই এই তালিকা।

সেরাদের তালিকায় রাবা খান রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। তাঁর পরিচয়ের পাশে উল্লেখ রয়েছে, একজন উদ্যোগী, কৌতুকশিল্পী ও ইউটিউবার। আর ইশরাত করিমের ‘আমাল ফাউন্ডেশন’ বাংলাদেশের হতদরিদ্র, অসহায় মেয়েদের নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ করছে।

ফোবর্সের এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন ফিলিপিনের লুইস মাবুলো। কোকাকো প্রজেক্টের জন্যই তাঁর এই সম্মান। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার মারিয়াস সান্টানু। ক্যাটারিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মারিয়াস। প্রতিদিন ১৪ হাজার মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেয় তাঁর ক্যাটারিং।

‘ঝাকানাকা প্রজেক্ট’-এর জন্য রাবা খানের এই সম্মান প্রাপ্তি। এই প্রজেক্টে তাঁকে একজন এন্টারটেইনার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন শ্রেণি থেকে রাবা খান মনোনয়ন পেয়েছিলেন। রাবা খানের বয়স এখন ২০ বছর।

ফোর্বসের ওয়েবসাইটে রাবা খানের একটি ছবির পাশে তাঁর একটি মন্তব্য জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে রাবা বলেন, ক্যামেরার সামনে থাকা আমাকে আনন্দিত করে। আমার মন্তব্যগুলো মানুষকে আনন্দ দেয়, এটা বাড়তি পাওনা।

আর এক সেরা ইশরাত করিম ফোর্বসে স্থান পান সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ শ্রেণিতে। তাঁর সম্পর্কে বলা হয়, বিদেশে পড়াশোনা করে, দেশে ফিরে যৌথ উদ্যোগে আমাল ফাউন্ডেশন গড়ে তোলেন। এই ফাউন্ডেশন বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন ও বিধবা মহিলাদের নিয়ে, তাঁদের উন্নয়নে কাজ করছে।

ফোর্বস ১০টি শ্রেণিতে মোট ৩০০ জনের তালিকা করে। ফোর্বসের ওয়েবসাইটে প্রত্যেক শ্রেণিতে একজনকে ‘ফিচারড অনারি’ হিসেবে হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ফোর্বস জানিয়েছে, অনলাইনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মনোনয়ন থেকে তাদের গবেষকেরা ৩০০ জন এশীয় নাগরিকের নাম বের করেছে, যারা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। সেখান থেকে সেরা ৩০ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।

যে ১০টি শ্রেণিতে ফোর্বস নাম তুলে ধরেছে তার মধ্যে রয়েছে শিল্পকলা, বিনোদন, আর্থিক খাত, বিপণন ও বিজ্ঞাপন, খুচরা বিক্রি ও ইকমার্স, প্রযুক্তি, উৎপাদন, স্বাস্থ্য ইত্যাদি। রাবা খান মনোনয়ন পেয়েছেন গণমাধ্যম, বিপণন ও বিজ্ঞাপন শ্রেণি থেকে। এ শ্রেণিতে তাঁকে ‘ফিচারড অনারি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

ফোবর্স ম্যাগাজিনের বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ধনী, প্রভাবশালী, অনুপ্রেরণাদায়ী ব্যক্তিত্ব ও উদ্যোগীদের তালিকা নিয়মিত প্রকাশ করে।