ফি দিয়ে বিমানবন্দরের ‘ভিআইপি লাউঞ্জ’ ব্যবহারের সুযোগ দেয়ার চিন্তা

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দসহ দেশের বিমানবন্দরগুলোর ভিআইপি লাউঞ্জগুলোতে প্রাপ্য ও পদাধিকার যাত্রীরা ছাড়াও অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। এদের মধ্যে ভিআইপিদের আত্মীয়-স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের সংখ্যাই বেশি থাকে। মূলত ক্ষমতা ও তদবিরের মাধ্যমেই লাউঞ্জের সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন তারা ।

অথচ কারা এসব লাউঞ্জ ব্যবহার করবেন তার নির্দেশনাও রয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের। সূত্র জানায়, রাষ্ট্রের ভিআইপিরাই মূলত বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন। অন্য কারও ব্যবহার করার এখতিয়ার নেই।

এভিয়েশনের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

Travelion – Mobile

এ নিয়ে প্রায়শঃ বিমানবন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের বচসা-বিবাদ হয়, ক্ষমতার দাপটে অনেকে দুর্ব্যবহারও করে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে খোদ বিমানবন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ত্যক্ত-বিরক্ত। হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি এড়াতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও এখনো পর্যন্ত লাউঞ্জের শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেনি।

এ অবস্থায় বিকল্প চিন্তা করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ সুবিধা ফি নির্ধারণের মাধ্যমে উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। ভিআইপি ছাড়া অগ্রহী যে কেউ ফি দিয়ে লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারবেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভিআইপি লাউঞ্জ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভিআইপি লাউঞ্জ

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ২৫তম সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাস্তবায়নে একমত কমিটির সকল সদস্য।

সভার আলোচনায় ওঠে আসে, ফি দিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে চালু আছে। ফি নেয়া হলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে তেমন যারা এই লাউঞ্জ অবৈধভাবে ব্যবহার করেন তাদের এমনিতে সেখানে যাতায়াত কমে যাবে।

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মাহবুব আলী গণমাধ্যমকে বলেন,‘ফি দিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের বিষয়টি সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা হয়েছে। বিষয়টি কমিটির সদস্যরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

‘এখন এই প্রস্তাবনাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে (কেবিনেট) পাঠানো হয়েছে। কেবিনেট এর নীতিমালা প্রণয়ন করবে, তিনি যোগ করেন।’

শাহাজালাল বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ মূলত ৪টি। এরমধ্যে ‘রজনীগন্ধা’ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ভিআইপিরা ব্যবহার করেন। ‘বকুল’ব্যবহার করেন এডিশনাল সেক্রেটারি পদধারী ও সমমর্যাদার ব্যক্তিরা। ‘দোলনচাঁপা’ ব্যবহার করেন সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ‘চামেলী’ ব্যবহার করেন একুশে পদক পাওয়া ব্যক্তি, সংবাদপত্রের এডিটর ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে বিদেশ ভ্রমণরত বেসরকারি কর্মকর্তাগণ।

এভিয়েশনের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

কিন্তু, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিমানবন্দরের নিয়ম না মেনে নিরাপত্তা তল্লাশি ছাড়াই প্রবেশ, শরীর ও ব্যাগ তল্লাশিতে বাধা, অস্ত্র বহনের নিয়ম না মানা, অতিরিক্ত দর্শনার্থী নিয়ে প্রবেশসহ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অসহযোগিতা করেন ভিআইপিরা।
সূত্র : মানবজমিন

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!