প্রশিক্ষক পাইলট অজ্ঞান : যেভাবে বিমান অবতরণ করালেন শিক্ষনবীশ!

ফ্লাইট ভয়েজ রেকর্ডার প্রতিলিপি
পাইলট: জরুরী, জরুরী, জরুরি অবস্থা। এটি ট্যাঙ্গো, ফক্সট্রোট, রোমিও, আপনি কি শুনতে পাচ্ছেন?

এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি): ট্যাঙ্গো, ফক্সট্রোট, রোমিও, আমি শুনতে পাচ্ছি। আপনি কীভাবে বিমান চালনা করবেন জানেন?
পাইলট: খুব কম। এটি আমার প্রথম পাঠ।

এটিসি: এই মুহুর্তে আপনার প্রশিক্ষক কি অজ্ঞান?

Travelion – Mobile

পাইলট: তিনি আমার কাঁধে ঝুঁকে আছে। আমি তাকে খাড়া রাখার চেষ্টা করছি। তিনি পড়ে যাচ্ছেন।

এটিসি: ট্যাঙ্গো, ফক্সট্রোট, রোমিও। আপনি আগে কোনও বিমান অবতরণ করেছেন? নিজের নিয়ন্ত্রণে বা অন্য কারও সাথে নিয়ন্ত্রণ করেছেন?

পাইলট: না, আমার নেই […]

এটিসি: ‌’পাওয়ার অফ, পাওয়ার অফ, পাওয়ার অফ। নাকটা আলতো করে তুলুন, আর আপনি গ্রাউন্ডে নেমে পড়েছেন। আপনি এটি ছুঁয়েছেন। সাবাশ. এটি আশ্চর্যজনক, আপনি এত ভাল করেছেন। রানওয়েতে ঠিক সেখানে ব্রেক করুন এবং আমরা সমস্ত যানবাহন (উদ্ধার কাজের) রানওয়েতে বেরিয়ে এসে আপনার সাথে দেখা করছি।’

প্রায় এক ঘন্টা অস্ট্রেলিয়ার পার্থের জান্দাকোট বিমানবন্দর প্রদক্ষিণ করার পরে এবং পদ্ধতির অনুশীলন করার পরে, তিনি বিমানবন্দরের রানওয়েতে নিরাপদে ছুঁয়েছিলেন যেখানে অপেক্ষা করছিল তার পরিবার এবং জরুরী উদ্ধরকারী দল ।

উপস্থিত বুদ্ধি আর আত্মবিশ্বাস থাকলে যে বড় বিপদ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায় তা আরেকবার প্রমাণ দিল অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষানবিশ বিমান পাইলট ম্যাক্স সিলভেস্টার। বিমান চালানো শিখতে গিয়ে বিপদে পড়েন তিনি। উড়ানো শেখানের সময় আকাশে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তার প্রশিক্ষক। শিক্ষার্থী যুবক সিলভেস্টার তখন অতল সাগরে পড়েছেন। কী করে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাবেন?‌ ভাবনার সঙ্গে চলে উৎকন্ঠাও।

জানা যায়, শনিবার প্রশিক্ষকের সঙ্গে সেসেনা ১৫২ টু সিটার বিমানে উড়েছিলেন আকাশে। ওড়ার কিছুক্ষণ পরেই প্রশিক্ষক অজ্ঞান হয়ে যান। এদিকে ম্যাক্স বিমান চালানোর কিছুই জানেন না সিলভেস্টার। প্রথমদিন তিনি প্রশিক্ষণ নিতে উড়েছিলেন। অবশেষে তিনি ফোন করলেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলে।

এরপর চলে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের একের পর এক নির্দেশ। যার সাহায্যে সিলভেস্টার সত্যিই কন্ট্রোলারের নির্দেশ মেনে বিমানটি জানদাকোট এয়ারপোর্টে নামিয়েছেন।

প্রশিক্ষক অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইং স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিমানের মধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখন ভাল আছেন।‌‌

সংবাদ সম্মেলনে সিলভেস্টার বলেন: “যদি আমি না শিখতাম, আমি এখানে থাকতাম না এটাই বাস্তব একটা সত্য। কোনও সন্দেহ নেই যে সারাবিশ্বে আমি উড়ে যাব না।”

ফ্লাইট স্কুলের মালিক চক ম্যাকেলউই বলেন: “বিমানটিতে মোটেই কোনও ক্ষতি হয়নি। সত্যই, এটি একটি নিখুঁত অবতরণ ছিল।”
তিনি ছাত্র পাইলট এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) উভয়ের প্রশংসা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!