প্রবাসে করোনায় ১০৯৩ বাংলাদেশির মৃত্যু

শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্বের ১৮ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১ হাজার ৯৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে শুধু সৌদি আরবেই মারা গেছেন ৩৫৫ জন।

এরপরে যুক্তরাজ্যে প্রায় ৩০৫, যুক্তরাষ্ট্রে ২৭২, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫০, কুয়েতে ৪০, ইতালিতে ১৪, কাতারে ১৩ জন; কানাডা ও বাহরাইনে ৯ জন করে, সুইডেনে ৮, ফ্রান্সে ৭, স্পেনে ৫ এবং মালদ্বীপ, পর্তুগাল, কেনিয়া, লিবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও গাম্বিয়ায় ১ জন করে বাংলাদেশি মারা গেছেন।

দেশগুলোতে বাংলাদেশ দূতাবাস, মিশন, কুটনীতিক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ওপর এই পরিসংখ্যান ওঠে এসেছে।

Travelion – Mobile

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া সৌদি আরবে ১৪ হাজার, কাতারে প্রায় ৪ হাজার, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৪ হাজার, কুয়েতে ১ হাজার, বাহরাইনে ৭০০, ইতালিতে ২৫০ এবং স্পেনে ২০০ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

উপসাগরী দেশ ওমানে করোনাক্রান্তে বাংলাদেশির মৃত্যু ও আক্রান্তের খবর পাওয়া গেলে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি। কারণ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নীতি অনুযায়ী করোনাক্রান্ত ও মৃত ব্যক্তির নাগরিকত্ব প্রকাশ করা হয় না।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাদ দিয়ে এই আট দেশে আজ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বাংলাদেশির সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তবে সিঙ্গাপুরে বিপুল সংখ্যায় বাংলাদেশি আক্রান্ত হলেও তাঁদের বড় অংশটি সুস্থ হয়ে গেছে বা সুস্থ হওয়ার পথে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও কাতারের গত দুই সপ্তাহে সেখানে নিহত ও সংক্রমিত লোকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি অভিবাসী অধ্যুষিত দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে লোকজন যেমন সুস্থ হচ্ছেন, আবার নতুন করে আক্রান্তের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকে দু–এক দিন ছাড়া প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশের লোকজন মারা গেছেন আর আক্রান্ত হয়েছেন। গত ১০ দিনে সেখানে নতুন করে কোনো বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!