প্রবাসী কর্মীদের জন্য রাজধানীতে ২০০ টাকায় থাকার ব্যবস্থা

সবুজের প্রাচীর ঘেরা প্রায় ১৪০ কাঠার বেশি জায়গায় বিদেশগামী এবং বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মীদের জন্য সাময়িক আবাসস্থল তৈরি করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। এ আবাস্থলের নাম দেয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার। কর্মীরা এখানে মাত্র ২০০ টাকায় প্রতি রাত যাপন করতে পারবেন। নারী ও পুরুষ কর্মীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে এই সেন্টারে। এটি রমজানের পর পুরোপুরিভাবে চালু হবে।

শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে এর উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড জানায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিদেশগামী ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের সাময়িক আবাসন সুবিধাসহ বিভিন্ন সেবা দেওয়ার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সন্নিকটে নিরাপদ ও মনোরম পরিবেশে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।

Travelion – Mobile

এ সেন্টারের মাধ্যমে প্রবাসী কর্মীরা ন্যূনতম খরচে বিদেশে যাওয়ার সময় অথবা বিদেশ থেকে দেশে ফেরার সময়ে সাময়িকভাবে অবস্থান করতে পারবেন। এই অবস্থানকালে তাদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও এখানে প্রবাসী কর্মীদের রিইন্টিগ্রেশন (পুনঃএকত্রীকরণ) এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বা করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হবে। যার ফলে বঙ্গবন্ধু ওয়েজ আর্নার্স সেন্টারটি প্রবাসী কর্মীদের একত্রিত হওয়ার এবং পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান হবে যা দেশে এই প্রথম। আপাতত ৪৮ জনের থাকার ব্যবস্থা এখানে রাখা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ উদ্বোধন করেন ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ উদ্বোধন করেন ।

এই সেন্টারের আওতায় সুযোগ সুবিধাগুলোর মধ্যে থাকছে বিদেশগামী ও ফেরত প্রবাসী কর্মীরা ১০০ টাকা ফি দিয়ে সরাসরি কিংবা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। একজন কর্মী ১টি সিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। প্রতি রাতের জন্য প্রতি সিটের ভাড়া ২০০ টাকা এবং প্রতিবার সর্বোচ্চ দুই রাত অবস্থান করা যাবে।

অবস্থানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র, যেমন-পাসপোর্ট ও এয়ার টিকেট কপি, বহির্গমন ছাড়পত্র/মেম্বারশিপ সনদের কপিসহ সংশ্লিষ্ট কাগজ।

কর্মীদের জন্য সেন্টার থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াতের জন্য পরিবহন সুবিধাসহ সেফ লকারে লাগেজসহ মূল্যবান মালামাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা, টেলিফোন সুবিধা, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এখানে করা হয়েছে।

এছাড়া কর্মীদের জন্য কাউন্সিলিং ও মোটিভেশনের ব্যবস্থা, প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থাসহ সাশ্রয়ী মূল্যে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে এই সেন্টারে।

উদ্বোধনের পরে মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, কর্মীদের জন্য এখানে আপাতত একটি থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরে একজন কর্মী থাকলে তার খাওয়া দাওয়াসহ অনেক টাকা খরচ পড়ে যায়। এখানে অনেক কম মূল্যেই তারা থাকতে পারবে এবং খেতে পারবে। ‘আমরা বলি কল্যাণ বোর্ডের’ টাকায় এটি করা হয়েছে। এগুলো কিন্তু আসলে কর্মীরদের বোর্ডে দেওয়া টাকা। এ ফান্ড দিয়েই কিন্তু আমরা তাদের কল্যাণে কাজ করছি। এই সেন্টার সেই ফান্ড থেকেই করা হয়েছে।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটি মহাপরিচালক শহীদুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, যুগ্ম সচিব নাসরিন জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!