প্রবাসী কর্মীদের কাজের অনুমতি দিয়েছে মালয়েশিয়া

করোনাকালে কর্মহীন, অর্থহীন, খাদ্য-বস্ত্রের কষ্টের মধ্যেই প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুসংবাদ দিয়েছে মালয়েশিয়া। দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীদের কাজ করার অনুমতি মিলেছে। শিগগিরই কর্মীরা তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে কাজে যোগ দিতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে তাদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি বিন ইয়াকুব। মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) চলাকালীন বেশিরভাগ অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতে করে গত চার মাস ধরে বিদেশি শ্রমিকদের কাজ করার অনুমতি ছিল না। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিদেশিদের ফের কাজে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

অভিবাসী শ্রমিকরা কাজে ফেরার অনুমতি পেলেও তাদের জন্য একটি শর্তও জুড়ে দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। শর্ত অনুযায়ী, বিদেশি শ্রমিকদের কাজে ফিরতে হলে তাদের করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অভিবাসী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে এ অনুমতি থাকলেও নিজ দেশে যারা ছুটিতে রয়েছেন, তাদের ফিরে যাওয়া বা কাজে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত নেই নতুন করে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও।

এর আগে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকলে গত ১৮ মার্চ থেকে দেশটিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সব অফিস-আদালত-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সব ধরনের জনসমাগমও নিষিদ্ধ করা হয়, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যাতায়াতও বন্ধ করা হয়।

করোনা সংক্রমণের গতি কমে এলে মে মাস থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু কিছু সেবা চালু করতে শুরু করে দেশটির সরকার। পরে ১০ জুন থেকে বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল করে দেওয়া হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালুর অনুমতি দেওয়া হয়। দেশটির সরকার আশা করছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে তারা ‘স্বাভাবিক’ কর্মকাণ্ডে ফিরতে পারবে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭৩৭ জন। মারা গেছেন ১২২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৮ হাজার ৫৩৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অর্থাৎ বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন মাত্র ৭৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন জন। অর্থাৎ দেশটিতে করোনার সংক্রমণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!