প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসায় ব্রুনাই সুলতান

ব্রুনাই দারুসসালামের শাসক সুলতান হাজ্বি হাসসান আল-বলকিয়াহর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসেই এই সুযোগ হয় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম নারী হাইকমিশনারের।

রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানে সুলতানের প্যালেস ইস্তানা নুরুল ইমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনাড়ম্বর আয়োজনে পরিচয়পত্র পেশ করেন বাংলাদশে হাইকমিশার নাহিদা রহমান সুমনা।

এসময় ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দ্বিতীয়) দাতো ইরানওয়ান, সুলতানের ব্যক্তিগত ও গোপনীয় সচিব পেহিন তাহা এবং রাজকীয় গৃহাধ্যক্ষ আবু বাকের উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন প্রথম সচিব (শ্রম) জিলাল হোসেন।

Travelion – Mobile

পরিচয়পত্র পেশ শেষে সুলতানের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে হাইকমিশনার সুলতান বলকিয়াহ, রাজ পরিবার এবং ব্রুনাইয়ের জনগণের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা জানান। সুলতানও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

সুলতান বলকিয়াহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিস্ময়কর ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করেন, প্রশংসা করেন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয়দান এবং দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে অবাক করা উচ্চতায় তুলে আনার।

ইস্তানা নুরুল ইমান প্যালেসে  ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা
ইস্তানা নুরুল ইমান প্যালেসে ব্রুনাইয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা

হাইকমিশনার সুমনা বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে সুলতানকে অবহিত করেন।

আরও পড়তে পারেন :’আমার কাছে প্রতিদিনই নারী দিবস’

সফল কূটনীতিক নাহিদা রহমান সুমনা করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই গত বছরের অক্টোবরে ব্রুনাইতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৭ তম বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের এই কূটনীতিক ১৯৯৯ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে ব্রাজিলে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত, কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার, কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনে কাউন্সেলর এবং ক্যানবেরার প্রথম সচিব এবং মন্ত্রণালয়ে আঞ্চলিক সংস্থা উইংয়ের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এসময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দূতাবাস মোবাইল অ্যাপের ধারণা ও উদ্যোগের শুরু থেকেই বেশ ভূমিকা রেখেছিলেন। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন বিষয়ে যথেষ্ঠ আগ্রহী পেশাদার এ কূটনীতিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়েও কাজ করছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন নাহিদা রহমান সুমনা। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর এবং জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পানি আইনে ফেলোশিপ অর্জন করেছেন। দুই ছেলের জননী নাহিদা রহমান সুমনার স্বামী অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আসলাম ইকবাল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!