পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৩ ডিসেম্বর
অবৈধ সম্পদ ও অর্থপাচার আইনের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর আদালতের জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এই দিন ধার্য করে করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন পাপুলের স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম।
গতকাল বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে পাপুলসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকার লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জেসমিন প্রধানের পাঁচটি হিসাবের মাধ্যমে ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত লন্ডারিং হয় ১৪৮ কোটি টাকা। অথচ মাত্র বয়স ২৩ বছর বয়সী জেসমিনের নিজের কোনো আয়ের উৎস নেই।
অন্যদিকে এফডিআর হিসাবের দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৮ টাকার কোনো উৎস শ্যালিকা জেসমিন দাখিল করতে পারেননি। যে কারণে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল এবং তাঁর স্ত্রী এমপি সেলিনা ইসলাম, শ্যালিকা জেসমিন প্রধান ও মেয়ে ওয়াফা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগ দখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় অভিযাগে এবং প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরাধ আইনের ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে।