পাপুলের মানবপাচারে যোগসূত্রের অস্বীকার কুয়েতের দুই এমপির

কুয়েতে মানবপাচার এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে কোন ধরনের যোগসূত্র বা সর্ম্পকের কথা অস্বীকার করেছেন দেশটির দুইজন সংসদ সদস্য।

কাজী পাপুলের আটকের পর এই সপ্তাহের শুরুতে কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, দেশের সবচেয়ে বড় এই মানবপাচার কেলেঙ্কারিতে সরকারী কর্মকর্তা এবং সংস্থাগুলির শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া রিপোর্টে কুয়েতের জাতীয় সংসদের ওই দুই সদস্যের নাম ওঠে আসে।

কুয়েত টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সংসদ সদস্যেদর একজন বলেছেন যে, তিনি বাংলাদেশের আইন প্রণেতার সাথে কোনও যোগসূত্র রাখেননি বরং ভিসা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তিনিই প্রথম সোচ্চার হয়েছিলেন। যাদের কাছে প্রমাণ আছে তাদের আদালতে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

Travelion – Mobile

কুয়েতের এই আইন প্রণেতা বলেন, নির্বাচনের আগে এবং জাতীয় পরিষদে গ্রিলিং বিতর্কের প্রাক্কালে এ জাতীয় বিষয় সাধারণত তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য উত্থাপিত হয়েছে।

আগের খবর : কুয়েতের ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে ঘুষ দিয়েছিলেন এমপি পাপুল!

অন্য সংসদ সদস্যের আইনজীবী বাংলাদেশি সংসদ সদস্যের সঙ্গে তার মক্কেলের কোনও ধরনের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেন। তিনি জানান, তার মক্কেলের নাম প্রকাশ করেছেন এমন সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এমপি মোহাম্মদ হায়ফ বাণিজ্য ও বিচার মন্ত্রীদের কাছে বাংলাদেশি এমপির নামে নিবন্ধিত সমস্ত বাণিজ্যিক লাইসেন্স বা চুক্তির অনুলিপি চেয়েছেন।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী পাপুলের মানবপাচার, অর্থ পাচার এবং ভিসা বাণিজ্য নিয়ে আরও বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে। কিছু সাইট দাবি করেছে যে, তিনি কুয়েতের প্রায় ১০০ প্রভাবশালী লোককে বিলাসবহুল গাড়ি এবং কয়েক লক্ষ দিনার ঘুষও দিয়েছেন, পাশাপাশি কুয়েতি মালিকানার সংস্থাগুলির মূল অংশীদার হয়েছিলেন।

আগের খবর : কুয়েতে ঘুষ নেওয়া তিনজনের নাম প্রকাশ এমপি পাপুলের

এ দিকে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনাস আল-সালেহ বলেছেন,“ পাবলিক প্রসিকিউশনের নতুন তথ্য অনুযায়ী আকামা ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পাবলিক প্রসিকিউশন আদালতে কোন নাম রাখা, বাদ দেওয়া বা উল্লেখ করার জন্য এখানে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সংসদ অধিবেশনে আকামা ব্যবসায়ীদের উপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পেশ করা প্রতিবেদনের আলোচনায় মন্ত্রী আরও বলেন,“যার নামই সামনে আসুক না কেন আমরা তা লুকিয়ে বা গোপন রাখবা না। যারাই এর (এমপি পাপুল) সাথে যুক্ত কিংবা আকামা ব্যবসায়ে জড়িত তাদের আইনি উপায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে

কুয়েতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং দেশ থেকে তথাকথিত আকামা বাণিজ্য নির্মূল করায় বর্তমানে অন্যতম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণারয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে তিনি সংসদকে জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!