পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফাহিম সালেহ নৃশংসভাবে খুন নিউইয়র্কে
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা, তরুণ উদ্দ্যেক্তাদের আইকন ফাহিম সালেহ (২৮) নিউইর্য়কের ম্যানহাটানে নিজ এপার্টমেন্টে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন।
তার চাচাতো ভাই আতাউর বাদল এ তথ্য নিশ্চিত করে জানয়িছেনে স্থানীয় সময় আজ সকাল অথবা গত রাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ফাহিমের বোন তার খোঁজ না পেয়ে ৯১১ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। নিউইয়র্ক পুলিশ ফাহিমের নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মঙ্গলবার বিকালে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেলে ম্যানহাটানের লোয়ার ইস্ট সাইডের একটি বিলাসবহুল কনডমিনিয়াম ভবনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে একজন ব্যক্তির অবরুদ্ধ ও বিকৃত মরদেহ পাওয়া গেছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। দেহ থেকে মাথা বিছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়।
এনওয়াইপিডি পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাহিমের শরীরের হাত-পা, মাথা সবকিছু খণ্ড-বিখণ্ড ছিল। আমরা এগুলো পেয়েছি।
পুলিশ বিভাগের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মাথা এবং অঙ্গগুলি পরে অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া যায়। আশেপাশে বেশ কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ ছিল এবং দেখে বুঝা যাচ্ছিল হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ নষ্ট কিছু চেষ্টা করা হয়েছিল।
পুলিশ মুখপাত্র বলেছেন যে মেডিকেল পরীক্ষকের কার্যালয় মৃত্যুর কারণ নির্ধারণ করবে।
ফাহিম সালেহ গত বছর ২.২ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ম্যানহাটনের ডাউনটাউনে এই অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন।
১৯৮৬ সালে জন্ম ফাহিমের। তাঁর বাবা সালেহ উদ্দিন বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে আর মা নোয়াখালীর মানুষ। ফাহিম পড়াশোনা করেছেন ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে আমেরিকার বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। থাকতেন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে।
তিনি রাইড শেয়ার অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ফাহিম নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়ায়ও এমন আরও দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানির মালিক।
তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে।