পর্তুগালে ২০১৯ সালের অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শিগগির

পর্তুগালে ২০১৯ সালে অভিবাসন প্রত্যাশী আবেদনকারী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সাক্ষাৎকার শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে।

পর্তুগালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার কন্ট্রোল (এসইএফ) জানিয়েছে, যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী ২০১৭ সাল ও ২০১৮ সালে অভিবাসনের জন্য আবেদন তথা এসইএফ এন্ট্রি করেছে তাদের সবাইকে ইতোমধ্যে বায়োমেট্রিক দেওয়ার জন্য সাক্ষাৎকারের তারিখ সম্বলিত ইমেইল পাঠানো হয়েছে।

শিগগিরই আবেদনের ক্রমানুসারে ২০১৯ সালের আবেদনকারীদের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

Travelion – Mobile

প্রথম ধাপে ২০১৯ সালের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যারা আবেদন করেছেন তাদের বায়োমেট্রিক দেওয়ার তারিখ-সময় সম্বলিত ইমেইল পাঠানো হবে।

সম্প্রতি, অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাদের লোকবল সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

কমিটি অব ইমিগ্র্যান্ট ইন পর্তুগাল (সিআইপি) নামে একটি সংগঠনের প্রশ্নের জবাবে এসইএফ জানায়, ‘আমরা ২০১৯ সালের প্রথমার্ধের আবেদনগুলো একত্রীকরণ ও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করে খুব শিগগির আবেদনের ক্রমানুসারে সাক্ষাৎকারের সময়-তারিখ দেব।’

গত ১৯ আগস্ট সংগঠনটির সঙ্গে ভার্চুয়াল আলোচনায় এসইএফ জানিয়েছে, অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণে বড় পরিবর্তন আসছে এবং ২০১৯ সালে যারা আবেদন করেছেন তাদেরকে আবেদনের ক্রমানুসারে সাক্ষাৎকারের তারিখ দেওয়া হবে।

এর এক মাস পর আবার যোগাযোগ করা হলে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ জানায়, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে যাদের সাক্ষাৎকারের সময়-তারিখ নির্ধারিত হয়েছে তাদের আলাদা করে বাকিদের তারিখ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

তৃতীয় পক্ষের দৌরাত্ম্য কমাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে, আইনজীবী ও দালালরা এটিকে কেন্দ্র করে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা দাবি করত।

যাদের আবেদন প্রক্রিয়াধীন তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে বসবাসের অনুমতি এবং এ সময়টুকু যেন তাদের নাগরিকত্ব আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় সেদিকে নজর রাখার দাবি গত আগস্টে জানিয়েছিল সিআইপি।

অভিবাসন অধিদপ্তরের এক পরিচালক বলেছেন, ‘কাজটিকে গতিশীল করতে ১১৭ জন নতুন কর্মকর্তার নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব। আশা করছি, আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী অভিবাসন প্রত্যাশীদের সময় মতো সেবা দিতে পারব।’

গত ৩১ আগস্টের হিসেব অনুযায়ী এসইএফ ৬৩ হাজার ৮৮৪টি রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করেছে যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১২ দশমিক ৬ শতাংশ কম।

২০২০ সালের প্রথম ৮ মাসে প্রায় ৭২ হাজার ৯৭৩টি রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করা হয়। একই সময়ে পর্তুগালে ৫৮৯ জন শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থনা করেছে যা গত বছরের চেয়ে ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ কম।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!