নেপাল ট্র্যাজেডি : বেড়াতে গিয়ে প্রাণ হারাল পুরো পরিবার
নেপালে ২২ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ভারতের একই পরিবারের সব সদস্য রয়েছেন।
পরিবারটি ছুটি কাটাতে নেপাল যাচ্ছিল। ব্যবসায়ী অশোক কুমার ত্রিপেঠী এবং তার স্ত্রী বৈবভী বান্দেকার ত্রিপেঠীর অনেক আগেই বিচ্ছেদ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে প্রতি বছরই তারা সন্তানদের সঙ্গে ১০ দিন ছুটি কাটান।
এ বছরও ছেলে দানুস (২২) এবং মেয়ে রিতিকাকে (১৫) নিয়ে তারা ছুটি কাটাতে নেপাল যাচ্ছিলেন। কিন্তু রোববার অনাকাঙ্ক্ষিত ওই দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার প্রাণ হারায়।
অশোক ত্রিপেঠী (৫৪) ওড়িশায় একটি কোম্পানি পরিচালনা করেন। অন্যদিকে বৈবভী ত্রিপেঠী (৫১) মুম্বাইয়ের একটি বাণিজ্যিক ফার্মে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তারা এয়ারের ওই উড়োজাহাজেটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। স্থানীয় সময় রোববার সকালে উড়োজাহাজটি নিখোঁজ হয়। ৯এন-এইটি প্লেনটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে পোখারা থেকে প্লেনটির সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয় সময় রোববার সকালে তারা এয়ারের ফ্লাইটটি পোখারা থেকে জমসমের উদ্দেশে যাত্রা করার ১৫ মিনিট পর নিখোঁজ হয়। ৯এন-এইটি উড়োজাহাজটিতে ১৯ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মুস্তাং জেলায় উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
নেপালের সেনাবাহিনী অভিযান চারিয়ে ১৩ জন নেপালি, চারজন ভারতীয় ও দুজন জার্মান নাগরিকসহ ২২ জন আরোহীর মরদেহ উদ্ধার কেরন।
এর আগে ২০১৮ সালে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ ত্রিভুবন বিমানবন্দরের রানওয়েতে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে গেলে ৫১ আরোহী নিহত হন। মোট ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা ছেড়েছিল ওই ফ্লাইটটি।