নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে। ‘মুজিব বর্ষ’ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরি’র সহযোগিতায় এটি স্থাপন করা হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্ক সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন এমপি কর্নারটির উদ্বোধন করেন। এ সময় পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস এবং কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকট উনিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (মনোনিত) সাদিয়া ফয়জুননেসা উপস্থিত ছিলেন ।

এছাড়াও নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন সি. ল্যু, এবং কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট ডোনাভান রিচার্ডস এবং সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Travelion – Mobile

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তরা, বাংলা ভাষাকে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-আমেরিকানদের কাছে তুলে ধরার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষি সকলের বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মধ্যে বাংলাদেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরী হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে আশা প্রকাশ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের নিয়ে এই ‘বাংলা কর্ণার’-এ আসবেন এবং বই পড়বেন।

তিনি এই বিশেষ দিনে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেওয়া ৩২টি ভাষণের সংকলণ ও বিশ্লেষণ এবং প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে ৭৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তির লেখনি সম্বলিত বিশেষ সংকলন কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীকে উপহার দেন।

নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন
নিউইয়র্কে কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘বাংলা কর্নার’ স্থাপন

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, মুজিব বর্ষে স্থাপিত এই ‘বাংলা কর্ণার’টি আমাদের বাংলাদেশি-আমেরিকান কমিউনিটির জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি আশা প্রকাশ করেন কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরী সহ অন্যান্য মূলধারার প্রতিষ্ঠানের সাথে কনস্যুলেটের যোগাযোগ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।

কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা জানান, এই ‘বাংলা কর্ণার’ বিপুল পরিসরে গত বছর উদ্বোধনের কথা থাকলেও কোভিড মহামারীর কারণে তা সম্ভব হয়নি।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী তাঁর নিজের লেখা বেশ কয়েকটি বই কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরির প্রেসিডেন্ট ডেনিস ওয়ালকট এর হাতে তুলে দেন। এছাড়াও, Secret Documents of Intelligence Branch on Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’র Volume:১-৯ এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশিত ‘Lighting the Fire of Freedom: Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’ বইসমূহ লাইব্রেরীকে উপহার দেন। কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেনিস এম. ওয়ালকটকমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে একটি Presentation of Honour স্মারক প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই বইসমুহ কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরীর প্রধান শাখায় ৬ মাস প্রদর্শিত হবে এবং পরবর্তীতে তা লাইব্রেরীর বিভিন্ন শাখায় বইগুলি সংরক্ষিত থাকবে।

প্রসঙ্গতঃ ২০১৯ হতে ২০২১ সাল পর্যন্ত পরপর তিন বছর কুইন্সের মূলধারাকে সম্পৃক্ত করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুইন্সে ক্রমবর্ধমান বাংলাদেশি-আমেরিকানদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ কুইন্স পাবলিক লাইব্রেরিতে ‘মুজিব বর্ষ’ উপলক্ষ্যে ‘বাংলা কর্ণার’ স্থাপনের উদ্যোগ নেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফ’জুননেসা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!