নিউইয়র্কে রাস্তার নাম ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’

বাংলাদেশের ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসের একটি রাস্তা ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নাম দেওয়া হয়েছে।

প্রায় এক বছর ধরে জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন (জেবিবিএ) নানা তৎপরতার শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হলো প্রবাসী বাংলাদেোশিদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।

স্থানীয় সময় রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ স্ট্রিটের নামফলক উম্মোচন করেন জ্যাকসন হাইটস ও এলমহার্স্ট এলাকার নবনির্বাচিত সিটি কাউন্সিলম্যান উপ-মহাদেশীয় বংশোদ্ভূত শেখর কৃষ্ণান। মূলত তার উদ্যোগেই রাস্তা নামকরণ বাস্তবায়ন হয়েছে।

Travelion – Mobile

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

নামফলক উম্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্কের কংগ্রেসওমেন গ্রেস মেং, অ্যাসেম্বলিওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ, স্টিভেন রাঘাব, কাউন্সিল মেম্বার জেসিকা গঞ্জালেজ-রোজাস, অ্যাসেম্বলিম্যান স্টিভেন রাগা, কাউন্সিল মেম্বার লিন্ডা লি, জেবিবিএর বর্তমান সভাপতি হারুন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, অপর জেবিবিএর সভাপতি গিয়াস আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খানসহ অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।

 ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’-এ প্রবাসী বাংলাদেোশিদের আনন্দ উৎসব
‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’-এ প্রবাসী বাংলাদেোশিদের আনন্দ উৎসব

নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জ্যাকসন হাইটসে ‘বাংলাদেশ’ নামে সড়ক করার জোর তৎপরতা চালান জেবিবিএর সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। জেবিবিএর বর্তমান সভাপতি হারুন ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান নিউইয়র্ক সিটির কর্মকর্তাদের কাছে প্রস্তাব পাঠান। তাদের দেওয়া তাগিদের ফলেই প্রস্তাবটি পাস করানোর চেষ্টা চালান সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলম্যানরা।

 জ্যাকসন হাইটসের একটি রাস্তা ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’
জ্যাকসন হাইটসের একটি রাস্তা ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলম্যানদের সাধারণ সভায় ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের উদ্যোগ নিলে পরে ৪৭-০ ভোটে তা পাস হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট একটিভিস্ট, শিক্ষক ও লেখক লিজি রহমানের ছেলের নামে এলমহার্স্টের কুইন্স বুলোভার্ডে ৫৫ রোডের কর্নারে নামকরণ করা হলো আসিফ রহমান ওয়ে। ২০০৮ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইকেল চালিয়ে কাজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কুইন্স বুলোভার্ডে ৫৫ রোডের কাছে ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন আসিফ রহমান।

উল্লেখ্য, কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলের পার্ক কমিটির চেয়ার। আর স্ট্রিটের পুনর্নামকরণ করার দায়িত্বটিও পার্ক কমিটির। সে কারণে নির্বাচিত হওয়ার ৬ মাস পর থেকেই তিনি ৭৩ স্ট্রিটের নাম বাংলাদেশ স্ট্রিট এবং ৫৫ রোডের নাম আসিফ রহমান ওয়ে রাখার লক্ষ্যে প্রস্তাবনা তৈরি শুরু করেন। এজন্য কেন ৭৩ স্ট্রিটের নাম ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ করতে হবে তার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করান।

অবশেষে পার্ক কমিটি তার প্রস্তাবনা মেনে নেয় এবং শুনানিতে তোলে। ৩১ জানুয়ারি শুনানিতে তা গৃহীত হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি তা ফুল কাউন্সিলে ৪৭-০ ভোটে পাস হয়। এ সময় কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান সিটি কাউন্সিল চেম্বারে ৭৩ স্ট্রিটকে বাংলাদেশ স্ট্রিট ও ৫৫ রোডকে আসিফ রহমান ওয়ে ঘোষণার পক্ষে চমৎকার দুটি বক্তব্য রাখেন।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!