নাম বদলে তুরস্ক এখন ‘তুরকিয়ে’

আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কের নাম পাল্টে গেছে। আঙ্কারার অনুরোধে এখন থেকে জাতিসংঘে তুরস্ককে ডাকা হবে ‘তুরকিয়ে’ নামে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর তুরস্কের নাম বদলানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের ‘রিব্র্যান্ডিং’ প্রচারণার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেশটিকে নতুন নামে ডাকার অনুরোধ জানানো হয়।

Travelion – Mobile

গত ডিসেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘আসলে তুরকিয়ে শব্দটির মাধ্যমে তুর্কি জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ক্রমবিকাশকে সঠিকভাবে তুলে ধরা যায়।’

জাতিসংঘ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে আঙ্কারা থেকে অনুরোধ আসার সঙ্গে সঙ্গে তা বদলিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অধিকাংশ তুর্কি নিজের দেশকে ‘তুরকিয়ে’ বলেই জানেন। এই দেশটিকে ব্রিটিশরা ‘টার্কি’ বলে ডাকে। পরে এই শব্দটির মাধ্যমে তুরস্ক বহির্বিশ্বে পরিচিত হয়ে উঠে। এমনকি, তুরস্কের ভেতরেও ‘টার্কি’ শব্দটি বহুল ব্যবহৃত।

গত বছর ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি তা ব্যবহার করতে শুরু করে। বলা হয়, ক্যামব্রিজ ইংলিশ ডিকশনারিতে ‘টার্কি’ শব্দের অন্য অর্থগুলোর একটি হচ্ছে—’বোকা ও নির্বোধ ব্যক্তি’।

এখন থেকে ‘মেড ইন টার্কি’র পরিবর্তে তুরস্কের সব রপ্তানি পণ্যে ‘মেড ইন তুরকিয়ে’ লিখা হবে। গত জানুয়ারি থেকে দেশটির পর্যটন শিল্পে ‘হ্যালো তুরকিয়ে’ লিখা হচ্ছে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে অনলাইনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সরকারি কর্মকর্তারা এই পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিরোধীরা মনে করছেন, এটি তুরস্কের চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা থেকে দৃষ্টি সরাতে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের কৌশল।

তবে দেশের নাম বদলানো সাম্প্রতিক ইতিহাসে নতুন ঘটনা নয়। যেমন, হল্যান্ড শব্দটির পরিবর্তে নেদারল্যান্ডস ব্যবহার করা হচ্ছে। গ্রিসের সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধের মুখে মেসিডোনিয়া নাম পাল্টে উত্তর মেসিডোনিয়া রেখেছে। আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ড এখন এসওয়াতিনি নামে পরিচিত।

এর আগে, পারস্য শব্দের পরিবর্তে ইরান, সিয়ামের (শ্যাম) পরিবর্তে থাইল্যান্ড, রোডেশিয়ার পরিবর্তে জিম্বাবুয়ে ও বার্মার পরিবর্তে মিয়ানমার শব্দের প্রচলন করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!