মহাকাশে বাসযোগ্য গ্রহের খোঁজ!

কোনো একটি ‘মৃত্যুপথযাত্রী’ নক্ষত্রের কাছে একটি প্রাণ ধারণের উপযোগী গ্রহের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিষয়টি নিশ্চিত হলে প্রথমবারের মতো ‘শ্বেত বামন’ বলে পরিচিত মৃতপ্রায় নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করা জীবন টিকিয়ে রাখার উপযোগী গ্রহের খোঁজ মিলবে। বলা হচ্ছে, গ্রহটি ওই শ্বেত বামনের ‘বসবাসযোগ্য অঞ্চলে’ যা অতি উষ্ণও নয় আবার অতি ঠাণ্ডাও নয়।

মৃত তারাকেই বলা হয় শ্বেত বামন (হোয়াইট ডোয়ার্ফ)।

এগুলো তাপ বিকিরণ করতে করতে জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে সংকুচিত হয়ে যায়। শ্বেত বামনের ভর সূর্যের কাছাকাছি বা সমান। বিজ্ঞানীরা বলেন, আমাদের সূর্যও কোটি কোটি বছর পর একদিন শ্বেত বামনে পরিণত হবে। মহাবিশ্বে অসংখ্য মৃত নক্ষত্র রয়েছে। এ রকম একটি নক্ষত্রের কাছেই কোনো না কোনো ধরনের প্রাণের বাসযোগ্য অঞ্চলের সম্ভাবনা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনের অধ্যাপক জে ফারিহি বলেন, ‘জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে এই পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ নতুন। এই প্রথমবারের মতো কোনো শ্বেত বামনের বসবাসযোগ্য অঞ্চলে কোনো কিছু দেখা গেল। এর মাধ্যমে অন্য একটি পৃথিবীতে প্রাণের সম্ভাবনা জাগল। ’

Travelion – Mobile

সম্ভাব্য গ্রহটি পৃথিবী থেকে ১১৭ আলোকবর্ষ দূরে। আলো সেকেন্ডে প্রায় দুই লাখ মাইল গতিতে চলে এক বছরে যত দূর যায় তা-ই এক আলোকবর্ষ। আমাদের পৃথিবী সূর্যের থেকে যতটা দূরে, ওই গ্রহটির সঙ্গে মৃতপ্রায় নক্ষত্রটি তার ৬০ গুণ কাছে।

গ্রহটি সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ এখনো বিজ্ঞানীদের হাতে নেই। তবে তারা পরোক্ষ প্রমাণ পেয়েছেন। মহাকাশের ওই অঞ্চলে চাঁদের আকারের ৬৫টি কাঠামো রয়েছে। এসব কাঠামোর মধ্যবর্তী দূরত্ব একই। মনে করা হচ্ছে, কোনো গ্রহের মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবেই এটি ঘটছে। ‘বিষয়টি গবেষকদের চমকে দিয়েছে’, বলেছেন অধ্যাপক জে ফারিহি।
সূত্র : বিবিসি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!