দুবাই বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ১২৫ বাংলাদেশি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাই বিমানবন্দরে প্রায় ১২৫ প্রবাসী আটকে আছেন। গতরাতে ফ্লাই দুবাই করে বাংলাদেশ থেকে দুবাই আসার পর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেসন আর পেরুড়ে পারেন তারা। তাদের দুবাই ঢুকতে দেওয়া হয় নি।
এ বিষয়ে দেশ থেকে আগত মুহাম্মদ আলমগীর নামে একজন যাত্রী মুঠোফোনে আকাশযাত্রাকে জানান, গতরাতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসা ফ্লাই দুবাই মোট ৪ টি ফ্লাইটর যাত্রীদের মধ্যে এই ১২৫ জন যাত্রী আটকা পড়েছেন।
ভিসা-স্ট্যাটাস জটিলতার কারণে তাদেরকে আটক করে রাখা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। আটকেপড়াদের ভিসা স্ট্যাটাস গ্রিন ছিলো না।
আরও পড়তে পারেন : বাংলাদেশসহ ১৬ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা বাড়িয়েছে ইতালি
তিনি বলেন, আমি ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ফ্লাই দুবাই করে এসেছি। দেশ থেকে আসার আগে আমরা যেখান থেকে টিকেট নিয়েছিলাম সেখান থেকে টিকেট এর সাথে আমাদেরকে আইসিএ অনুমোদনের এর একটি প্রিন্ট আউট পেপার দেওয়া হয়। যেই পেপারটি আমরা বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনকে দেখিয়েছিলাম এবং দেশ থেকে আসার ছাড়পত্র পাই। ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইন্সের টিকেট নেওয়ার সময় আমাদেরকে আমিরাত প্রবেশে কোনো সমস্যা হবেনা জানিয়েছিলো যে কারণে আমরা রেড সিগন্যাল থাকার পরও আমিরাতে এসেছি।”
এছাড়াও তিনি জানান আটকে থাকা যাত্রীদের সাথে দুবাই কনস্যুলেটের একটি প্রতিনিধি দল কিছুক্ষণ আগে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি আমাদের ছবি তুলেছেন এবং আমাদেরকে অপেক্ষা করতে বলেন।
এ বিষয়ে দুবাই কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর ফাতেমা জাহানের র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তবে কনফার্ম করে এখনো কিছু বলতে পারছিনা।
আরও পড়তে পারেন : কুয়ালালামপুর-ঢাকা রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট মালিন্দো এয়ারের
ইতিমধ্যে গত ৮ অক্টোবর থেকে আমিরাত সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে ঘোষণা করেছে আইসিএ অনুমোদন ছাড়া দুবাই বিমান বন্দর দিয়ে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবেনা। এরপরও এয়ারলাইন্সগুলো কেন এ ধরনের কাজ করবে সেই ভুক্তভোগী প্রবাসীদের প্রশ্ন। প্রবাসীদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন আমিরাত প্রবাসীরা।
এদিকে আলমগীর নামে ওই যাত্রী রাতে আবারো মুঠোফোনে জানান, তাদেরকে রাতে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।
আরও পড়তে পারেন: মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে শিশুর জন্ম, আজীবন ফ্রি করল ইন্ডিগো!
