দক্ষিণ কোরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ওপর ২য় আলোকচিত্র প্রদর্শনী
দক্ষিণ কোরিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর চার দিন ব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ‘মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয়বারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাজধানী সিউলে ইয়াংওয়ান কর্পোরেশনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে আয়োজিত এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর ওপর ১৫টি আলোকচিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপল’স হিরো’-এর কোরিয়ান সংস্করণসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর অন্যান্য প্রকাশনা প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি এবং সেই সাথে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণও সম্প্রচার করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং ইয়াংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাং কি-হাক ফিতা কেটে যৌথভাবে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অবদানের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, এই প্রদর্শনী দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুপ্রতিম জনগণকে তথা তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর এবং তাঁর রূপকল্প, দর্শন ও মতাদর্শ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে।
ইয়াংওয়ান কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সাং কি-হাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদান ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভব হতো না। নিজ দেশের জনগণের অধিকার আদায়ের জন্যই তিনি জাতির পিতা হিসেবে অভিহিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য তুলে ধরে তিনি আশা করেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতির পিতাকে আরও ভালোভাবে জানবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকবৃন্দ, সুশীল সমাজের সদস্যবৃন্দ এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকগণ অংশগ্রহণ করেন। আগত অতিথিবৃন্দকে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ উপহার প্রদান করা হয়।
প্রদর্শনীটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ টা হতে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্য প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি গত মাসে সিউল শহরের প্রাণকেন্দ্র গাংনামের থিও গ্যালারিতে কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছিল।