দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘ডাকটিকেটে’ স্মরণীয় হল বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী

দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘ডাকটিকেটে’ স্মরণীয় হল বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এই উপলক্ষে দেশটির জাতীয় ডাক বিভাগ কোরিয়া পোস্টের এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশ করা হয় স্মারক ডাকটিকেট।

১৭ মার্চ রাজধানী সিউলে দূতাবাস প্রাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন অনুষ্ঠানে ‘স্মারক ডাকটিকেট’ উন্মোচন করেন দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। এসময় কোরিয়া পোস্ট, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতিসংঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি মুন বাণীও দিয়েছেন, তা আলোচনা পর্বে পাঠ করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের আলোকচিত্র এবং তার জীবন ও কর্মের উপর লিখিত প্রায় শতাধিক বই নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।

Travelion – Mobile

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের উদ্যোগে দুই পর্বের কর্মসূচির শুরুটা হয় সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের নিয়ে কেক কাটছেন  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম
দক্ষিণ কোরিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শিশুদের নিয়ে কেক কাটছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম

এই পর্বের দিবসের গুরত্ব ও তাৎপর্যের উপর উন্মুক্ত আলোচনার শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ করা হয়। এরপরে দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন।

আলোচনায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুজিব বর্ষের প্রাক্কালে মহান এই নেতার জীবন, বর্ণাঢ্য কর্মজীবন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা নিতে সবাইকে আহবান জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নের বীজ বপন করতে হবে।

বিকালে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দূতাবাস পরিবারের শিশু-কিশোররা সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এরপর তারা পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ হতে পাঠ করে এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে কিছু অংশ পড়ে শোনায়। সবশেষে পরিবেশন করে নৃত্য,সঙ্গীত আর আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামও সংগীত পরিবেশন করে সবাইক বিমোহিত করেন।

এ উপলক্ষে’বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃ্তি’ শীর্ষক অংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। সবশেষে তিনি শিশু-কিশোরদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে এবার ঘরোয়াভাবে দূতাবাস পরিবারকে নিয়ে সীমিত পরিসরে দিবসটি উদযাপন করা হয়। তবে ঝুকিঁ উপেক্ষা করে স্বল্প সংখ্যক দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী বাংলাদেশি অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!