দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন ২ বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা
বাংলাদেশিদের রক্তে আবারো রঞ্জিত হলো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি। একইদিনে আলাদা ঘটনায় কৃঞ্চাঙ্গ সন্ত্রাসী হাতে খুন হলেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিট্যান্সযোদ্ধা। নিহতরা হলেন নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির ওমর ফারুক (২৯) এবং অন্যজন হলেন ফেনীর নুর হোসেন সুমন (৩৩)।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জোহানসবার্গ শহরের কাছাকাছি ব্কিবলারপার্ক এলাকায় দুই বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। তাদেরকে দ্রুত বারাগোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত ৮টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়া ওমর ফারুককে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ফারুক মাত্র ৬ মাস আগে দক্ষিণ আফ্রিকা এসেছিলেন।
অন্যদিকে একইদিনে রাত ৯ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফেরার পথে প্রিটোরিয়ার কাছে ব্রংগো ইস্পিটে সশস্ত্র একদল ডাকাত গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করলে নুর হোসেন সুমন গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
জানা যায়, সুমন ১২ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যবসা করছেন। তার ৫টা দোকান মধ্যে ২টা দোকানে ডাকাতি হলে সম্প্রতি তিনি থানায় মামলা করেছিলেন। পুলিশ ২জন ডাকাতকেও গ্রেফতার করেছিল । ডাকাত দলের সদস্যরাই প্রতিশোধ নিতেই সুমনকে থুন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুমন ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গ্রামের হাজী জাবেদ আলী বাড়ীর আবুল কাশেমের ছেলে। তার ২ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবার ও বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে। তাকে হারিয়ে বাবা-মা শোকে বিহবল হয়ে পড়েছে। সুমনের মরদেহ দ্রুত দেশে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ দুতাবাস ও সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবার৷
নিহত দুই বাংলাদেশির মরদেহ লাশ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে সশ্লিষ্টরা জানান।
একইদিনে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের মাঝেও।
এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাতে চলতি বছর ৪৭ বাংলাদেশি সন্ত্রাসী ও ডাকাত গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।