দক্ষিণ আফ্রিকায় নিজ বাসায় বাংলাদেশি নারী খুন, স্বামী পলাতক

দক্ষিণ আফ্রিকার শান্তা ইসলাম নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি নারী খুন হয়েছেন। দেশটির পুমালাঙ্গা প্রদেশের লাইডেনবার্গ শহরে নিজ বাসায় খুন হন তিনি।

স্ত্রী খুনের অভিযোগ উঠেছে তার প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী স্বামী সুমন আহমেদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন পলাতক রয়েছেন। তাদের দুইজনের প্রেমের বিয়ে ছিল।

বাংলাদেশি কমিউনটির সংগঠক ও প্রবাসী সাংবাদিকরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কোন সময়ে কিভাবে শান্তা ইসলাম খুন হয়েছেন সেই তথ্য পাওযা যায়নি।

Travelion – Mobile

টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার থলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শান্তা ইসলাম বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। স্বামী সুমন আহমেদ টাঙ্গাইল একই জেলার বাসাইল থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের বাসিন্দা।

শান্তার প্রতিবেশি বাংলাদেশিরা সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সময় রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে শান্তাকে নিতে তার এক আত্মীয় লাইডেনবার্গের বাসায় যান। এ সময় ভেতর থেকে বাসা তালাবদ্ধ ছিল। বার বার কলিংবেল বাজিয়েও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার সন্দেহে জাগে। কারণ স্বামীর নির্যাতনের খবর জানিয়ে প্রবাসী স্বজনদের কাছে যাওয়ার আকুতি জানিয়েছিল শান্তা। তাতে সাড়া দিয়ে তিনি গিয়েছিলেন শান্তাকে নিয়ে আসতে।

ওই অত্মীয় দেরি না করে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় চান। পুলিশ এসে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান, ঘরের মেঝেতে শান্তার মরদেহ পড়ে আছে।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত আর পলাতক স্বামী সুমনের সন্ধানে পুলিশ সব ধরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সুমনের সন্ধান পেতে প্রবাসীদের সহযোগিতা চেয়েছেন নিহত শান্তার স্বজনরা।

শান্তার আত্মীয় আরও জানান, সুমন শান্তার দূরসম্পর্কের আত্মীয়। দেশে থাকা অবস্থায় তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমের টানে শান্তা নিজ খরচে দেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা পাড়ি দেন। দিয়েছিলেন এবং সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই স্বামীর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে পড়তে হয় তাকে।

স্বামী সুমন দক্ষিণ আফ্রিকায় এসে প্রথমে চাকরি করলেও পরে পুমালাঙ্গা এসে ব্যবসা শুরু করেন। বিয়ের পর নিজ বাসায় শান্তাকে নিয়ে সংসার শুরু করেছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!