তৃতীয় ড্রিমলাইনার ‘গাঙচিল’ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

উদ্বোধনী ফ্লাইট আবুধাবির

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হলো বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আরও একটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘গাঙচিল’।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনাল থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন বোয়িং (৭৮৭-৮) ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘গাঙচিল’ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজটিতে আরোহণ করেন এবং ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন।

বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী ফ্লাইটে আবুধাবির উদ্দেশে আকাশে ডানা মেলবে ‘গাঙচিল’।

Travelion – Mobile

গাঙচিল পরিদর্শন করছেন প্রধানমন্ত্রীগত ২৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে দেশে আসে ‘গাঙচিল’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পছন্দে উড়োজাহাজটির নামকরণ করা হয়েছে ‘গাঙচিল’।

‘গাঙচিল’ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনটিতে।

২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন উড়োজাহাজ কেনার জন্য ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে এগুলোর মধ্যে চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দু’টি নতুন বোয়িং ৭৩৭-৮০০ যুক্ত হয়েছে। বাকি চারটি ড্রিমলাইনারের ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বিমানের বহরে আকাশবীণা ও হংসবলাকা যুক্ত হওয়ার পর আজ যুক্ত হলো ড্রিমলাইনার গাঙচিল।

আগামী সেপ্টেম্বর মাসে দেশে আসতে পারে চতুর্থ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’।

বিমানের চারটি ড্রিমলাইনারের নামই দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির উড়োজাহাজ ড্রিমলাইনার একটানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে পারে। অন্য উড়োজাহাজের চেয়ে এর জ্বালানি খরচও ২০ শতাংশ কম।

ড্রিমলাইনার গাঙচিলের ২৭১টি আসনের মধ্যে ২৪টি বিজনেস ক্লাস এবং ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাসের আসন। বিজনেস ক্লাসের আসনগুলো ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড সুবিধা রয়েছে।

অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময়ও ওয়াইফাই সুবিধা নিতে পারবেন যাত্রীরা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!