তুরস্ক-আরব আমিরাত সর্ম্পকের ‘নতুন যুগের শুরু’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান (এমবিজেড) এখন তুরস্ক সফর আছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান তাকে স্বাগত জানিয়েছেন । তুরস্কের কর্মকর্তারা এমবিজেডের সফরকে ‘নতুন যুগের শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম সরকারি সফরে তুরস্ক সফর করছেন আমিরাতের যুবরাজ, যাকে আমিরাতের ডি ফ্যাক্টো নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্র নীতির নির্ধারক মনে করা হয়।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়, তার এ সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামত ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে।

Travelion – Mobile

আঞ্চলিক পর্যায়ে দেশ দুটি নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের সংঘাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সমর্থন দিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনার পর এটিই প্রথম আমিরাতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তার আঙ্কারা সফর।

এর আগে যুবরাজের ভাই, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আগস্টে তুরস্কে সফর করেন। সেটি ছিল সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে প্রথম কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিও তাদের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।

লিবিয়ায় আঙ্কারার স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা এবং ২০১৬ সালে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে অর্থায়নের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করে তুরস্ক। এর পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরে। এ ছাড়া সিরিয়া ও কাতার নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।

সম্প্রতি তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা নজর কেড়েছে আমিরাতের। বিশেষ করে দেশীয় প্রযুক্তিতে তুরস্ক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যুদ্ধাজাহাজ ও মনুষ্যবিহীন সামরিক যান তৈরি করেছে। দেশটির তৈরি করা বিভিন্ন অস্ত্র ইতোমধ্যে সাফল্য দেখিয়েছে। এসব কারণে আরব আমিরাত চাইছে তুরস্কের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে। এমন পরিস্থিতিতে এমবিজেডের এ সফরকে ঘিরে আবারও সম্পর্কোন্নয়নের স্বপ্ন দেখছে আঙ্কারা ও আবুধাবি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!