তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ১৮, আহত ৫ শতাধিক

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে ভয়াবহ কম্পন অনুভূত হল তুরস্কে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৮ জনের, গুরুতর আহত ৫ শতাধিক। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ অন্তত ৩০ জন। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। কম্পনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল তুরস্কের পূর্বে অবস্থিত এলাজিগ প্রদেশের একটি ছোট শহর সিভরাইস। তীব্র ঝাকুনিতে এখানকার কয়েকটি ভবন ধসে পড়ে ।

তুরস্কের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পের পর প্রায় ৬০টি আফটারশক বা ভূকম্পণ অনুভূত হয়েছে। দুর্গত এলাকায় ৪০০’র বেশি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে।

Travelion – Mobile

যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের জন্য উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে তাবু ও বিছানা পাঠানো হয়েছে। আবার ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে এই ভয়ে প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও লোকজন ঘরে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

পরিবেশমন্ত্রী মুরাত কুরুমের মতে, দুই প্রদেশে প্রায় ৩০ টি ভবন ভূমিকম্পে ধ্বসে পড়েছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী ৪৭ বছরের মেলাহাত ক্যান সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, ‘খুবই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। সব আসবাব আমাদের ঘাড়ের উপর পড়ে যায়। কোনও রকমে প্রাণ হাতে করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসি।’

তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তায়িইপ এরদোগান জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্ত সব মানুষ ও মৃতদের পরিবারকে যথাসম্ভব সাহায্য করা হবে। ট্যুইট করে তিনি জানান, মানুষের পাশেই রয়েছে দেশের সরকার।

তুরস্ক সরকারের ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (AFAD) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ৮.৫৫ নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সিভরাইস। শহরের জনসংখ্যা ৪ হাজারের আসপাশে। হাজার হ্রদের কিনারায় অবস্থিত এলাজিগের দক্ষিণে অবস্থিত সিভরাইস।

ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, তা প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন ও ইরানেও অনুভূত হয়েছে। তবে ওই তিন দেশে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ১৭,০০০ মানুষ নিহত হয়েছিল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!