তুরস্কের ড্রোনে ঝুঁকছে ইউক্রেন-হাঙ্গেরি

ইউরোপের দেশ ইউক্রেন তুরস্কের কাছ থেকে আরও বায়রাক্তার ড্রোন কিনবে। আগামী বছর এসব ড্রোন কেনা হতে পারে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে দেশটির গণমাধ্যম ইন্টারফেক্স ইউক্রেন এ তথ্য জানায়। ডেইলি সাবাহর খবরে বলা হয়, ইউক্রেন তার সামরিক বাহিনীর জন্য আগামী বছর আরও বায়রাক্তার ড্রোন কিনবে।

অন্যদিকে তুরস্কের ড্রোন পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করেছে আরেক ইউরোপীয় দেশ হাঙ্গেরির সেনাবাহিনী । স্থানীয় গণমাধ্যম মাগইয়ার নেমজেতের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঙ্গেরির পাপা বিমানঘাঁটিতে তুরস্কের ভেসটেল কোম্পানি তৈরি কারায়েল-এসইউ ড্রোন পরীক্ষা করে দেখা হয়।

সিরিয়া, লিবিয়া এবং আজারবাইজানে বিভিন্ন যুদ্ধ-অভিযানে তুরস্কের ড্রোন ব্যাপক সফলতা লাভ করে। এ সাফল্য তুর্কি ড্রোনকে বিশ্বে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর থেকে বিভিন্ন দেশ তুর্কি ড্রোন কেনা শুরু করে। বর্তমানে কাতার, লিবিয়া, ইউক্রেন ও আজারবাইজান তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করছে।

Travelion – Mobile

২০১৯ সালে তুরস্কের কাছ থেকে ইউক্রেন ছয়টি বায়রাক্তার টিবি২ ড্রোন এবং তিনটি গ্রাউন্ড কনট্রোল স্টেশন সিস্টেম কেনে।

আরও পড়তে পারেন: ৪ দেশে ফ্লাইট স্থগিত করল তার্কিশ এয়ারলাইন্স

২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলের পর থেকে মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। তুরস্ক রাশিয়ার ক্রিমিয়া দখলের তীব্র বিরোধী এবং এ পদক্ষেপের সমালোচনা করে আসছে সে সময় থেকে। সম্প্রতি ২০২০ সালের অক্টোবরে ক্রিমিয়া ইস্যুতে একটি প্ল্যাটফর্ম গঠিত হয়। প্রথমদিকে এ প্ল্যাটফর্মকে সমর্থন জানানো দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক অন্যতম।

হাঙ্গেরির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা গ্যাসপার ম্যারথ বলেন, হাঙ্গেরি ২০১৮ সাল থেকে ড্রোন নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে। এর পর থেকে তুর্কি বিভিন্ন কোম্পানির ড্রোন সংগ্রহ করার জন্য পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

মাগইয়ার নেমজেতের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হাঙ্গেরির সেনাবাহিনী কারায়েল-এসইউ ড্রোন পছন্দ করে থাকতে পারে। এর কারণ হলো— ড্রোনটির সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত উড্ডয়ন, অবতরণ ও ফ্লাইট ফিচারস।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, তুরস্ক বিশ্বে শীর্ষ তিনটি ড্রোন প্রস্তুতকারী দেশের মধ্যে উঠে এসেছে। তুরস্কের সব ড্রোন দেশের প্রতিরক্ষা কোম্পানিগুলোর তৈরি করা এবং বিশ্বজুড়ে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!