তাজমহলে বোমাতঙ্ক, ভুয়া ফোনকলে তোলপাড়
বোমা রাখা রয়েছে বলে একটি ফোনকল আসে পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে তাজমহল থেকে সমস্ত পর্যটককে বের করে দিয়ে সব দিকের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুরো এলাকায় বোমা স্কোয়াড বাহিনী তল্লাশি শুরু করে। আনা হয় স্নিফার ডগ। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর জানা যায়, সেটি ভুয়া ফোন কল ছিল। এই কাণ্ড ঘটিয়েছে ফিরোজাবাদের এক যুবক
প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করেছিল ফোন এসেছে আলিগড় থেকে। কারণ যে নম্বর থেকে ফোনটি এসেছিল সেটি আলিগড়ের। পরে লোকেশন ট্র্যাক করে দেখা যায় যে ফোন করেছিল সে রয়েছে ফিরোজাবাদে। যুবককে পাকড়াও করতেই আসল কথা বেরিয়ে পড়ে।
যুবক কবুল করে আতঙ্ক তৈরি করতেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক বলেছে, সেনাবাহিনীতে চাকরি না পেয়ে ক্ষোভে সে এই কাণ্ড করেছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ থেকে সেনা জওয়ানরা চিরুনি তল্লাশি চালান তাজমহলে। তারপর ভুয়া ফোন কলের কথা জানার পর সকাল সোয়া ১১টা নাগাদ তাজমহলের দরজা খুলে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্য।
লকডাউন ঘোষণার আগে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে পর্যটকদের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাজমহলের দরজা। গত সেপ্টেম্বর থেকে তাজমহল আবার খুলে দেওয়া হয় । তবে বেশ কিছু বিধি মেনেই তাজমলে ঢুকতে হচ্ছে পর্যটকদের। কোভিড পরিস্থিতিতে দিনে পাঁচ হাজার পর্যটককে ঢুকতে দেওয়া হয় তাজমহলে। দুপুর দুটোর আগে আড়াই হাজার। দুটোর পর বাকি আড়াই হাজার পর্যটক প্রবেশ করতে পারেন। অনলাইনে টিকিট কেটে ঢুকতে হয় তাজমহলে।