জেনেভায় ‘ওয়ার অ্যান্ড ওম্যান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

৭১’-এর ২৫শে মার্চের মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা। পাক বাহিনীর এই গণহত্যা মানবজাতির ইতিহাসে আর কোথাও নজির নেই। মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশে কখনোই ৩০ লক্ষ মানুষকে হত্যা করতে পারতো না, যদি তাদের সঙ্গে এদেশের জামায়াতে ইসলামি, মুসলিমলীগ ও নেজামে ইসলামের মতো দল প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা ও হত্যাযজ্ঞে অংশ গ্রহণ না করতো।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

সেই সময়ের ভয়াবহ গণহত্যা, নিরাপরাধ শিশু ও নারী হত্যা এবং হত্যাপুর্বে গণধর্ষণের মতো ঘটনা প্রবাহের প্রত্যক্ষদর্শী গবেষক, লেখক ও রণাঙ্গনের সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ড. এম আনিসুল হাসান তাঁর ৪৪৫ পৃষ্ঠার “ওয়ার অ্যান্ড ওম্যান”(WAR & WOMEN) গ্রন্থে তুলে এনেছেন।

Travelion – Mobile

শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ ভবনের ক্যাফেটেরিয়া কর্নার সার্পেন্ট বারে বইটির মোড়ক উনম্মোচন করা হয় ।

মোড়ক উম্মোচন করেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেওয়া ৪ বীর মুক্তিযাদ্ধা, সর্ব ইউরোপীয় মুক্তিযাদ্ধা সংসদের সভাপতি আমিনুর রহমান খসরু, সহ-সভাপতি মহসিন হায়দার, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া আবুল কালাম।

মোড়ক উম্মোচন করেন, ৪ বীর মুক্তিযাদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু,  মহসিন হায়দার,  তাজুল ইসলাম ও মিয়া আবুল কালাম।
মোড়ক উম্মোচন করেন, ৪ বীর মুক্তিযাদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু, মহসিন হায়দার, তাজুল ইসলাম ও মিয়া আবুল কালাম।

‘সর্ব ইউরোপীয় মুক্তিযাদ্ধা সংসদ’ ও জেনেভা ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘ইন্ট্যারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেকুল্যার বাংলাদেশ’ যৌথ আয়োজনের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে আন্তজার্তিক সংস্থার একাধিক সংস্থার কূটনৈতিক ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন- জেনেভানাস্থ মানবাধিকার কর্মী ও আয়োজক সংগঠন “ইন্ট্যারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশের সভাপতি খলিলুর রহমান মামুন।

প্যানেল স্পিকার ছিলেন. সর্বইউরোপীয় মুক্তিযাদ্ধা সংসদের সহ সভাপতি আবু নাছের মহসিন, ইউনাইটেড কাশ্মির পিপলস ন্যাশনাল পার্টির চেয়ারম্যান শওকত আলী কাশ্মিরী , সংগঠনের সেন্ট্রাল সেক্রেটারি জামিল মাকসুদ , বেলুচ ভয়েস এসোসিয়েশন-এর সভাপতি মানবাধিকার কর্মী মুনীর মেংগল ও আফ্রিকান কালচারল ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট ডিয়ানকো লামিনো।

বক্তারা, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গণহত্যা গণধর্ষনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবী জানান।

তারা, ২৫ শে মার্চ গণহত্যা দিবসের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক সংস্হার স্বীকৃতির দাবী আদায়ে লক্ষ্যে জোরালো কন্ঠে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!