জার্মানিতে রবিবার থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু
জার্মানিসহ ইউরোপের অনেক দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টালমাটাল। করোনা মোকাবেলায় জার্মানিতে ২ নভেম্বর থেকে লাইট লকডাউন এবং পরে ১৬ ডিসেম্বর থেকে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হলেও প্রতিদিন ব্যাপকহারে বেঁড়েই চলছে করোনা সংক্রমন।
এই বাস্তবতায় জার্মান প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক এবং মার্কিন প্রতিষ্ঠান ফাইজারের উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিন রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে জার্মানিতে দেয়া শুরু হবে। এ লক্ষে শনিবার দেশটির ১৬ টি রাজ্যে ভ্যাকসিনের ডোজ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান রবিবার থেকে শুরু হলেও শনিবার স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যের একটি সিনিয়র হাউসে ১০১ বছর বয়সী এডিথ কুইজাল্লাকে করোনার ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। হয়েছে। এডিথ কুইজাল্লাই জার্মানিতে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন গ্রহনকারী।
প্রাথমিকভাবে, আগামীকাল দেশব্যাপী ২৭ টি ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে ভ্যাকসিন কেন্দ্র এবং মোবাইল ভ্যাকসিন টিমের মাধমেও করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
এ উপলক্ষে শনিবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান্স স্পান বলেছেন, “এটি জার্মানির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন।”
করোনার মহামারীর ভয়াবহতা উল্লেখ করে স্পান বলেন, “আমরা এটি শেষ করতে চাই এবং আমরা এটি শেষ করব। এটিই আমাদের এবারের শুভ বড়দিনের বার্তা।” তিনি আরো জানান, সকল টিকা কেন্দ্র এবং ভ্যাকসিন টিম সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত রয়েছে।
জানা যায়, প্রথমে ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ও বৃদ্ধাশ্রম এবং হাসপাতালের কর্মীদের করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে আগামী গ্রীষ্মের মধ্যেই সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য করোন ভাইরাসের টিকা সরবরাহ করা সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়ান্স স্পান।
এদিকে শুক্রবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ জার্মান সেচ্ছায় করোনার ভ্যাকসিন গ্রহনে আগ্রহী।
এদিকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১.৬ মিলিয়নের অধিক মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং প্রায় ৩০ হাজার মানুষ করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন।