জার্মানিতে যারা আগে করোনার ভ্যাকসিন পাবেন
ডয়েস ভেল প্রতিবেদন
২৭ ডিসেম্বর থেকে জার্মানিতে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হবে৷ শুরুতে এর আওতায় আসবেন আশি বছরের বেশি বয়সি আর স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ যদিও ঘোষিত অগ্রাধিকার তালিকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷
শুক্রবার জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান সরকারের ভ্যাকসিন বিতরণ কৌশল প্রকাশ করেছেন৷ এর পরপরই বিরোধী দল, জার্মান এথিকস কাউন্সিল, সংসদ, চিকিৎসক ও পুলিশ সংগঠনগুলোর তরফ থেকে সমালোচনা ও উদ্বেগ জানানো হয়েছে৷
এরই মধ্যে বায়োনটেক-ফাইজারের টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ৷ কিছুদিনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়নও এর অনুমোদন দেয়ার কথা৷ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জার্মানিতে কেয়ার হোমগুলোতে ২৭ ডিসেম্বর থেকে টিকা দেয়া শুরুর কথা৷
তবে স্পান শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এখনও দীর্ঘ সময় আমাদেরকে এই ভাইরাসের সঙ্গে বসবাস করতে হবে৷”
ভ্যাকসিন দেয়ার ক্ষেত্রে সরকার অগ্রাধিকারের তিনটি পর্যায় নির্ধারণ করেছে৷ প্রতিটি পর্যায়ে ক্রমান্বরে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ভ্যাকসিন পাবেন৷
প্রথম অগ্রাধিকার:
১. আশি বছরোর্ধ্ব মানুষ৷
২. বয়স্ব মানুষ অথবা মানসিকভাবে অসুস্থদের নিয়মিত যারা দেখাশোনা করেন বা সেবা দেন৷
৩. কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী, বিশেষ করে যারা আইসিইউ, ইমারজেন্সি বা জরুরি কক্ষ ও সামনের সারিতে কাজ করেন৷
৪. কোভিড-১৯ এর মৃত্যুঝুঁকিতে থাকা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া স্বাস্থ্যকর্মীরা৷
দ্বিতীয় অগ্রাধিকার:
১. সত্তর বছরোর্ধ্ব মানুষ৷
২. কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মৃত্যৃঝুঁকি বেশি এমন শারীরিক অবস্থায় যারা আছেন৷
৩. চলাফেরা করতে অক্ষম এবং গর্ভবতীদের সরাসরি সংস্পর্শে যারা বাস করেন বা সরাসরি তাদের সঙ্গে যারা কাজ করেন৷
৪. চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা যাদের কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি৷
৫. সরকারি হাসপাতালগুলো রক্ষণাবেক্ষণকারী জরুরি কর্মী৷
তৃতীয় অগ্রাধিকার:
১. ষাট বছরোর্ধ্ব মানুষ
২. কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হতে পারেন, এমন শারীরিক অবস্থায় রয়েছেন যারা৷ যেমন, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, কিডনি অথবা লিভার, এইচআইভি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুক্তভোগীরা৷
৩. প্রথম দুই ধাপে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা পাননি৷
৪. রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কর্মী, পুলিশ, অগ্নি নির্বাপণে নিয়োজিতরা, ত্রাণ কর্মী, এবং সংসদ সদস্যরা৷
৫. বিদ্যুৎ, পানি, খাবার সরবরাহ, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঔষধ নেটওয়ার্কসহ জরুরি অবকাঠামোতে নিয়োজিত কর্মীরা৷
৬. শিক্ষক ও ডেকেয়ার কর্মীরা৷
৭. অনিশ্চিত পার্ট-টাইম চাকুরিতে নিয়োজিতরা, মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, গুদামে কর্মরত কর্মীরা৷
৮. রিটেইল কর্মী