জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপিত হয়েছে।

দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর পূণ্যময় জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা ও দোয়ার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্টদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার, এম. মুর্শীদুল হক খান।

Travelion – Mobile

ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) ইতিহাস, গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর পূণ্যময় জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন রাষ্টদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি।

জার্মানিতে  বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন অনুষ্ঠান
জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উদযাপন অনুষ্ঠান

তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য ও ফজিলত বুঝতে হলে আমাদের প্রথমে যাঁর জন্য এ ঈদে মিলাদুন্নবী, সেই দয়াল নবীর সঠিক পরিচয় জানতে হবে, তাঁর সব গুণকে নিঃশর্তভাবে বিশ্বাস করতে হবে এবং নবীজি সম্পর্কে আল্লাহর হুকুম কী, সেই জ্ঞান অর্জন করে সেভাবে ইবাদত করতে হবে। তিনি শুধু ধর্ম প্রচারই করেননি, আজীবন তিনি নির্যাতিত বিপন্ন মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন।

রাষ্টদূত আরো বলেন, নবী করিম (সাঃ) জীবন থেকে সহমর্মীতা, সহনশীলতা ও সততার অনন্য শিক্ষা গ্রহণ করে সমাজের প্রতি দায়িত্বশীল আচরন এবং শান্তি ও সম্প্রীতির বিশ্ব গড়তে আমরা ভূমিকা রাখতে পারি।

আলোচনার পর রাষ্টদূতের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যদের জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া, বিশ্ব মানবতার মঙ্গল কামনার পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণ, প্রবাসী বাংলাদেশিদের এবং বাংলাদেশের সকল মানুষের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!