জার্মানিতে চীনা ‘পুলিশ স্টেশনের’ সন্ধান, বাড়ছে শঙ্কা

জার্মানিতে অন্তত দুইটি চীনা পুলিশ স্টেশনের তথ্য পেয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে এগুলোর নির্দিষ্ট কোনো কার্যালয় নেই। এসব পুলিশ স্টেশন দেশটিতে অবস্থানরত চীনারা দায়িত্ব পালন করেন। জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এনডিটিভির।

দেশটির মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীনা ভিন্ন মতাবলম্বীদের ‘শায়েস্তা’ করার জন্য এসব পুলিশ স্টেশন ব্যবহার করা হয় বলে দাবি সমালোচকদের।

এক আইনপ্রণেতার প্রশ্নের জবাবে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির মন্ত্রণালয় বলছে, জার্মানির ভূখণ্ডে চীনা সরকারের কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। এছাড়া এই বিষয়ে জার্মান সরকার চীনা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলে জানানো হয়েছে।

Travelion – Mobile

চলতি বছরের শুরুতে স্প্যানিশভিত্তিক এনজিও সেফগার্ড ডিফেন্ডার্স জানায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন ৫৪টি পুলিশ স্টেশন বসিয়েছে চীন। এসব পুলিশ স্টেশন মাঝে মধ্যে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচকদের ‘শায়েস্তা’ করতে কাজে লাগানো হয়।

রিপোর্ট, জার্মান আইন প্রণেতা জোয়ানা কোটার অনুরোধে এসব তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে। তিনি একে কেলেঙ্কারি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যখন এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হচ্ছে তখন সহজেই এসব চীনা কার্যালয়ের অস্তিত্ব সহযে মেনে নিচ্ছে সরকার এবং এসব বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করছে।

জোয়ানা কোটার বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিলে দ্রুতই এসব স্টেশননের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। বিভিন্ন দেশে চীনের এসব পুলিশ স্টেশনের কর্মকাণ্ডে বিশ্ব অঙ্গনে উদ্বেগ বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবার চেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, রাজধানী প্রাগে এ রকম দুটি অফিস বন্ধ করেছে চীন। এছাড়া নেদারল্যান্ডসও দেশটিতে এমন চীনা পুলিশ স্টেশনের অস্তিত্ব নিয়ে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে।

তবে চীন বিদেশের মাটিতে ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমন পীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিদেশের মাটিতে তাদের নাগরিকদের সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘পরিষেবা স্টেশন’ স্থাপন করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!